দ্য কলকাতা মিরর ব্যুরো :দাম্পত্য জীবনে যৌন মিলন একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সঠিক উপায়ে এবং সঠিক সম্পর্ক দুটি মানুষ কে আজীবন বেঁধে দিতে পারে একে অপরের সাথে। আজ জেনে নেব, দাম্পত্য যৌন মিলনে তৃপ্তি পাওয়া ও দেওয়ার কাজে পুরুষের ভূমিকা কতটা।
সরকারী কাগজে দুটি সই বা সামাজিক স্বীকৃতি পেয়ে গেলেই তাকে সুখী দাম্পত্য বলা চলে না। দাম্পত্যে চাই শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা, পরস্পরের সাথে জীবন বিনিময় করার আন্তরিক ইচ্ছা।
সেই সাথে, সুখী ও সুস্থ দাম্পত্য জীবনের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে যৌন মিলনে তৃপ্তি। জেনে রাখা ভালো যে শুধুমাত্র সন্তান জন্ম দেওয়াই যৌন মিলনের মূল উদ্দেশ্য নয় বরং জীবন সঙ্গীকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলতেও ভূমিকা রাখে শারীরিক ভালোবাসা।
স্বামী বা স্ত্রী যখন পরস্পরের সাথে যৌন মিলনে তৃপ্ত হন না তখনই দাম্পত্যে নেমে আসে সমস্যা। এবং সেই সমস্যার কারণে একসময়ে হারিয়ে যায় ভালোবাসা, রয়ে যায় কেবলই কলহ ও অসন্তুষ্টি। আর পরকীয়া কিংবা ডিভোর্সও এর সূত্রপাত হয়।
এমনকী এও দেখতে পাওয়া যায় যে আমাদের আসেপাশে প্রচুর মানুষ রয়েছেন যারা দাম্পত্য যৌনতা নিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন কিন্তু বলতে পারছেন না কাউকে, এমন সমস্যায় ভুগছেন হয়তো অনেকেই।
আজ আমি এই লেখাতে সেই সব নারীদের অনুভুতি তুলে ধরব যারা তাদের পুরুষের দ্বারা তৃপ্ত হতে পারেন নি। আপনি যদি পুরুষ হোন তাহলে এই অনুভুতি গুলি আপনার সঙ্গিনীর চাহিদা কে বুঝতে সাহায্য করবে। তাহলে জেনে নেওয়া –
অনেকেই বলছেন যে তাদের সঙ্গীর সঠিক যৌনতা নিয়ে অজ্ঞতা রয়েছে। অর্থাত্ পর্ণগ্রাফিক যৌনতা কেই তাদের পুরুষ সঙ্গীরা শোথগিক বলে মনে করেন এবং বাস্তবে সেই ঘটনা ঘটাতে গিয়ে তার সঙ্গিনীর কোনও বিষয় কেই পাত্তা দেন না।
এই অজ্ঞতা বা ভ্রান্ত ধারণা এমন কিছু প্রত্যাশার জন্ম দেয় যা বাস্তবে অসম্ভব।
আর এক জনের মতে যৌনতার ব্যাপারটি পোশাকের মতন। একই পোশাক যেমন সকলের গায়ে ফিট হয় না, তেমনই সবার সাথে সবার যৌন চাহিদাগুলো মিলবে ব্যাপারটি তেমন নয়। এমন হতেই পারে যে দুজন মানুষ সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও যৌন জীবনে সুখী হতে পারছেন না। এর মূল কারণ হচ্ছে দুজনের পছন্দ-অপছন্দ আলাদা হওয়া।
অনেক নারীই বলেছেন যে তাদের পুরুষ সঙ্গীরা জানেনই না ফিমেল অর্গাজম কী। যার ফলে সঙ্গিনী তৃপ্ত হল কী হোল না তাতে তাদের কিছুই যায় আসে না। নিজের বীর্যপাত হওয়া মানেই নারী তৃপ্ত হয়ে গিয়েছে এটা ভেবে নেওয়া ভুল। তাই আগে জেনে নিন আপনার সঙ্গিনীর চরমে পৌছনর ভালো লাগা গুলো। ফোর প্লে করুন অনেকটা বেশি সময় ধরে। নারীরা জলের মত। গরম হতে সময় নেয় প্রচুর এবং ঠান্ডা হতেও সময় নেয় বেশি।
আর এক নারী জানিয়েছেন যে মানুষের শরীর বাদ্যযন্ত্রের মত,এর থেকে সঠিক সুর সৃষ্টি করতে হলে চাই সাধনা ও ধৈর্য। সম্পর্ক ও ভালোবাসায় যৌন মিলন একটি সুন্দর ব্যাপার, বিশেষ করে নারীদের কাছে যৌন মিলন যেখানে সেখানে যেকোনোভাবে প্রায়োরিটি পায় না। তাই গৃহসজ্জা, মুড এই গুলির প্রতি ধ্যান দেওয়া বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে একইসাথে অপছন্দের ব্যাপারগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় দুজনের ই। এক ঘেয়েমী দূর করার জন্যে প্রয়োজন একটু ভিন্নধর্মী ভাবনা। নতুন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া, নানান রকম পজিশন চেষ্টা করা, সেক্স টয়ের ব্যবহার, স্বমেহনে সহায়তা করা, এরোটিক স্টোরি বলা বা পাঠ করা বা এমন অনেক কিছুই যা দুজনে পছন্দ করেন সেগুলো করুন।
প্রথমে পরস্পরকে আবিষ্কার করুন, পরস্পরের সঙ্গ কিছুদিন উপভোগ করুন। তারপর সময়-সুযোগ বুঝে সন্তানের পরিকল্পনা করবেন। যৌনতা ব্যাপারটি কেবল শারীরিক নয়, বরং অনেক বেশি মানসিক। তাই মানসিক ভাবে নিজেকে নিজের সঙ্গিনীর ভাবনার সাথে মিশিয়ে নিন দেখবেন আনন্দময় যৌন সম্পর্ক উপভোগ করতে পারছেন।
তবে নিজেদের চেষ্টায় যদি কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ না হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে লজ্জা করলে চলবে না। শারীরিক- মানসিক সমস্যা সমাধানে একমাত্র চিকিত্সকই হতে পারেন আপনার পরম বন্ধু।