The Calcutta Mirror Desk , Pallab : ধীরে ধীরে অস্বতিত্ব সংকটে বাঙালি হিন্দু সমাজ। নতুন দেশ গঠনের পর বাংলাদেশে লাগাতার কমছে হিন্দু জনসংখ্যা , সাথে বাড়ছে লাঞ্ছনা ও অত্যাচার আর চূড়ান্ত মৌলবাদের চাপে বাড়ছে ধর্মান্তকরণ। এবার ওপার বাংলার মত এই পশ্চিমবঙ্গেও দিন দিন ভয়াবহ বিপদের দিকে এগোচ্ছে হিন্দু সমাজ। যে রাজ্য তৈরিই হয়েছিল হিন্দু হোমল্যান্ড হিসাবে আজ সেখানেই বহু জায়গায় অস্তিত্ব হারাচ্ছে হিন্দুরা। হাজার হাজার গ্রাম হিন্দু শুন্য।
কিছু দিন আগে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী যে দাবি বারবার করেছে সেটা অমূলক নয়। আসলে বাঙালি হিন্দুদের নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্বের ফলে আজ তারা বিপদের মধ্যে। সাথে বর্তমান রাজ্য সরকারের লাগাতার মুসলিম তোষণ। ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে বড় বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের। কিন্তু সব জেনে বুঝেও বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে এখনও উবাচ মোদী সরকার। আসলে এখানকার বিজেপি নেতারা যাই বলুক না কেন দিল্লী আমাদের বাংলাকে নিয়ে বেশি চিন্তা করে না।
যে পশ্চিম বাংলা ড. শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় , প্রনবনন্দ জী মহারাজ , যদুনাথ সরকার , রমেশ চন্দ্র মজুমদার , মেঘনাথ সাহা সহ বহু ব্যাক্তি বর্গের চেষ্টায় হিন্দুদের রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছিল আজ সেই নিয়ে ভাবার মত কেউ নেই ? আসলে ১০০০ টাকা ভাতার আড়ালে সব কিছুই ধামা চাপা পড়ে যাচ্ছে। আর বাংলার হিন্দুদের তরুণ প্রজন্ম ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে অন্য রাজ্যে ফলে আগামী দিন কেমন হবে সেটা নিয়ে সকলেই সন্দিহান।
সেই দিন ১৯৪৬ সালে কলকাতাকে রক্ষা করেছিল গোপাল পাঁঠা ওরফে মুখোপাধ্যায় কিন্তু আজ সেই পরিস্থিতিতে কি হবে কেউ জানে না। তাই হিন্দুরা না বুঝলে তাদেরই বিপদ। সেই বিপদের দিন আসতে বেশি দেরি নেই। গতকাল লোকসভায় জোরালো সওয়াল করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। মালদা , মুর্শিদাবাদ সহ বিহারের কিছু জেলা নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছেন।