The Calcutta mirror desk: ঘন জঙ্গলের মধ্যেই দেবী অধিষ্টাত্রী। তার দর্শন পাওয়া যায় না সহদেব তাই তার নাম দুর্লভ কালি। বর্ধমানের লাকুদ্দি এলাকায় অবস্থিত দুর্লভ কালীবাড়ি। যেখানে মায়ের দেখা পাওয়া যেন অমাবস্যা চাঁদের দেখা পাওয়ার মতন। কথিত আছে ঘন জঙ্গলে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারী নামে একজন পরিব্রাজক ঘুরতে ঘুরতে এসেছিলেন এই ঘন জঙ্গলের মধ্যে।
এরপরে ঘন জঙ্গলে তিনি এই মন্দির তৈরি করেন। কালীর সাধনা করবার জন্যই এই মন্দির তিনি তৈরি করেছেন দীর্ঘদিন ধরে এখানেই তিনি সাধনা করেন। এই মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে বেহুলা নদী। দেবীর আরাধনা শুরু করবার আগে সেই নদীতে স্নান করতে যান তিনি সেই সময় ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা। হঠাৎ তার পায়ে একটি পাথর ঠেকে। এরপর হাত দিয়ে ওই পাথরটি তোলেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই দেবী তাকে স্বপ্নে দেখা দেন। তিনি নির্দেশ দেন এখানেই তাকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে ওই পাথর দিয়ে তৈরি করতে হবে তার মূর্তি। প্রথমে তাল পাতার ছাউনি দিয়ে শুরু হয়েছিল ওই পাথর পূজা করা এরপর বর্ধমানের রাজা বিজয় চাঁদ মেহতাব ছুটে আসেন এখানে। তৈরি করে দেন বিশাল মন্দির। অমাবস্যার রাতেই এই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। অথচ অমাবস্যার রাতেই নাকি?
চাঁদের দেখা সম্ভব হয়েছিল ব্রহ্মচারী গোকুল আনন্দের কারণে। এমন অলৌকিক ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে মায়ের মন্দির তড়িঘড়ি করে নির্মাণ করে দেন রাজা। আজো নানান অলৌকিক বিশ্বাস রয়েছে এই মন্দির ঘিরে দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্তরা এখানে ছুটে আসেন। রয়েছে পঞ্চ মুন্ডির আসন সেখানেই বসে প্রার্থনা করেন ব্রহ্মচারীরা। পাশেই রয়েছে গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারীর সমাধি ক্ষেত্র।