দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : অভিনেত্রী পারভিন ববি এবং পরিচালক মহেশ ভট্টের সম্পর্কের জল্পনা চিরদিনের। তবে সে জল্পনার কিছুটা হলেও সত্য তা নিজেই ফাঁস করেছেন মহেশ ভট্ট। করিষ্মা উপাধ্যায়ের লেখা পারভিন ববির একটি জীবনীর বেশ কিছু অংশে মহেশ ভট্টের উদ্ধৃতি রয়েছে। যেখানে পরিচালক তাঁর পুরানো প্রেমকে আওড়েছেন। মনে করেছেন সেই দিনের কথা যেদিন শোওয়ার ঘরে অভিনেত্রী, পরিচালকের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।
করিষ্মা উপাধ্যায়ের লেখা ঐ বইতে পারভিন ববির জীবনের সমস্ত কাহিনী লেখা হয়েছে। সেই বইয়েরই বেশ কিছু যায়গায় মহেশ ভট্টের উক্তি রয়েছে। একটি যায়গায় পরিচালক বলেন, তাঁর বন্ধু কবির বেদির সঙ্গে পারভিনের প্রথমে সম্পর্ক ছিল। পরে সে সম্পর্ক ভেঙে গেলে একদিন মহেশ ভট্টকে ডেকেছিলেন অভিনেত্রী। সেই প্রসঙ্গেই পরিচালকের উক্তি, “সেই সন্ধ্যায় দুজন বন্ধুর মধ্যে কথোপকথন শুরু হয়। তবে সে গল্প ধীরে ধীরে গভীরে যেতে শুরু করে এবং সেই নীরবতায় তৃপ্তি ছিল।”
এখানেই শেষ করেন নি পরিচালক। তিনি বলেছেন, “সে (পারভিন) খাটের মধ্যে শুয়েছিল আমার অপেক্ষায়। সেখানে নীরবতা ছিল। কারণ, কিছু মুখে বলার ছিল না।”
পরিচালক সেই সময় বিবাহিত ছিলেন। একটি সন্তানের বাবাও ছিলেন। তাঁর বিবাহিত জীবনে পারভিন ববির সঙ্গে সম্পর্কের কথা নিজেই স্বীকার করেন পরিচালক। লিখিত বইয়ে অভিনেত্রীর মানসিক রোগের কথাও উল্লেখ করেন। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু প্রসঙ্গেও তিনি পারভিন ববির মানসিক রোগের কথা বলেন। যেখানে সুশান্তকে মানসিক রোগী বলে সম্মোধন করায় সমালোচিত হয়েছিলেন পরিচালক।