দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : করোনা আবহে এই নাটকই যেন কথা বলছে। একজন বিজ্ঞানী সবসময় অমরত্বের স্বাদ দিতে চায় মানুষকে। তবে সেই ইচ্ছা পূরণে যে পথ বিজ্ঞানী অবলম্বন করে তা আদৌ সঠিক নাকি মানব সভ্যতাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরই রয়েছে কৌশিক সেন পরিচালিত ‘অর্ধেক মানুষ’ নাটকে। আজ উত্তরপাড়া নাট্যমেলায় এই নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন দেবশঙ্কর হালদার। অ্যাকাডেমিতেও এই নাটক দেখানো হবে বলে খবর।


ক্রিস্টোফার মার্লোর অন্যতম নাটক ‘ড. ফস্টাস’ অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে ‘অর্ধেক মানুষ’। নাটকের মুখ্য চরিত্র অর্থাৎ ডাক্তারের ভূমিকায় ছিলেন দেবশঙ্কর হালদার। এছাড়া দীপশঙ্কর, রেশমি, সুরঙ্গনা, দীতিপ্রিয়া প্রমুখও ছিলেন নাটকে। পাশাপাশি ঋদ্ধি সেনকেও শেষ মুহুর্তে দেখা যায়। নাটকের মূল বার্তা, একজন বিজ্ঞানীর অবলম্বন করা পথ সবসময়ই কি কল্যাণমূলক হয়? নাকি মানবসভ্যতার ক্ষতিও সাধন করে? উত্তর আছে নাটকেই। নাটকের প্রযোজনার দায়িত্বে ছিল স্বপ্নসন্ধানী।
আরও পড়ুন:এ. আর রহমানের সুরে এবার হিন্দি কভার সং গাইবেন ইমন চক্রবর্তী
পরিচালক কৌশিক সেনের কথায়, “সামগ্রীকভাবে পরিস্থিতিটাই এমন কঠিন যে এই সময় নাটকটা খুবই প্রয়োজনীয়। ‘অর্ধেক মানুষ’ ক্রিস্টোফার মার্বোর ‘ড.ফস্টাস’ অবলম্বনে রতনকুমারে দাসের অ্যাডাপটেশনে তৈরি।”
মাত্র পনেরো দিনের মধ্যেই সমস্ত রিহারসাল শেষ করতে হয়েছে বলে জানা যায়। খবর, বছর শেষে ৩১ ডিসেম্বরে অ্যাকাডেমিতেও ‘অর্ধেক মানুষ’ দেখানো হবে।