দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: প্রত্নতাত্ত্বিকরা তাদের গবেষণার কাজে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খননকার্য চালান।সেরকমই মিশরের নানা জায়গায় খননকার্য চলার সময়ে যে হরেক কবর, স্মৃতিসৌধ এং মমি আবিষ্কৃত হয়, সেটাও মাঝে মাঝেই স্থান করে নেয় সংবাদের শিরোনামে। এবারেও তেমনটাই হল। তবে এইবার যে মমিটি নিয়ে হইচই পড়ে গেছে, তার মুখের ভিতরে পাওয়া গিয়েছে একটি সোনার জিভ!
মিশরের বিখ্যাত তাপোসাইরিস ম্যাগনা মন্দির এলাকার আশেপাশে চলছিল এই খননকার্য। ইউনিভার্সিটি অফ সান্তো দমিনগো এবং তার তরফে অধ্যাপক ক্যাথলিন মার্টিনেজের তত্ত্বাবধানে এই খননকার্য থেকে ১৬টি পাথরের কবর খুঁজে পাওয়া গেছে। আর তার মধ্যেই একটি মমির মুখের ভিতরে কিছু একটা চকচক করতে দেখে অবাক হয়ে যান গবেষকরা। পরে দেখা যায় যে ওটা একটা সোনার জিভ।
এই সোনার জিভটি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে প্রত্নমহলে। অনেকের অনুমান, এই মৃত মানুষটি যাতে পাতালে গিয়ে মৃত্যুলোকের দেবতা আসিরিসের সঙ্গে কথা বলতে পারে, সেই জন্যই তাকে দেওয়া হয়েছিল সোনার জিভ। যখন এই মৃতদেহটিকে মমিফায়েড করা হয়েছিল, তখন এই জিভ বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরো পড়ুন: এই গ্রামে বয়স ১৮ হলেই পুরুষের নির্বাসন! কিন্তু মহিলারা থাকতে পারে আমৃত্যু!
এই সোনার জিভ-যুক্ত মমিটির কঙ্কা এবং করোটির বেশির ভাগটাই অটুট আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন যে আবিষ্কৃত অন্য মমিগুলো এতটা ভালো দশায় না থাকলেও এদের সবগুলোর পাথরের মুখাবরণ ঠিকঠাক আছে। ফলে, জীবদ্দশায় কাকে কেমন দেখতে ছিল, তা বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট। এই সোনার জিভ ছাড়াও একটি মমির মাথায় সাপ খোদাই করা সোনার মুকুট মিলেছে। মিলেছে বুক-জোড়া সোনার হার, যেখানে বাজপাখি খোদাই করা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বোঝা যাচ্ছে যে, এই মমিটি কোনো রাজা বা রাজবংশজাত কারোর হবে।
জানা যাচ্ছে, মিশরের ওই এলাকা অনেক বছর ধরেই ঐতিহাসিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। ক্লিওপেট্রার প্রতিকৃতি শোভিত স্বর্ণমুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে এখান থেকে। যা থেকে অনুমান করা হয় যে ক্লিওপেট্রার সমকালীন ব্যক্তিদেরও এখানে কবর দেওয়া হত।
লেখা: স্নিগ্ধা দে