দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : তারকাদের সাফল্যের গল্পে বহু ক্ষেত্রেই দুঃখের যাত্রা রয়েছে। ২০২০ সালের ভিএলসিসি ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডের রানার আপ মান্যা সিংয়ের যাত্রাটাও ঠিক সেই রকমই। একজন অটোচালকের মেয়ে, মান্যা। ছোটবেলায় একটা সময় ছিল যখন দু’বেলা ঠিক মতো খাবার জুটত না। খিদের জ্বালায় ঘুম হত না রাতে। সেই দারিদ্রতা থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মান্যা। আর তাঁর এই সাফল্যে আপ্লুত প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী মানুসী চিল্লারও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বসুন্দরী লিখলেন, “ভেঙে পড়ুক কাচের দেওয়াল।”
সম্প্রতি ২০২০ সালের ভিএলসিসি ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডের মুকুট জিতলেন তেলেঙ্গানার মানসা বারানসি। মিস গ্র্যান্ড ইন্ডিয়ার খেতাব জিতে নেন হরিয়ানার মনিকা শেওকান্ত। অন্যদিকে তিন নম্বরে স্থান দখল করেন মান্যা। রানার আপের মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের মান্যা সিংকে। বাকিদের মতো মান্যা সিংয়ের কাহিনীটা একরকম নয়। ছোটবেলার দুঃখের কাহিনী বলতে গিয়ে মান্যা বলেন, “আমার রক্ত, ঘাম আর চোখের জলই আমাকে স্বপ্ন দেখতে সাহস জুগিয়েছে।” এছাড়া মিস ইন্ডিয়া রানারআপ জানান, কিভাবে তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং কাজ করে টাকা জমাতে শুরু করেন। সকালে বাসন মাজার কাজ এবং রাতে কল সেন্টারে কাজ করে পড়াশোনা চালাতেন মান্যা। অর্থ বাঁচাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে যাতায়াত করতেন। দীর্ঘ পরিশ্রমের পরই এই সাফল্য পেয়েছেন মান্যা। তাই পুরস্কারের সম্পূর্ণ টাকা নিজের ভাই, মা এবং বাবাকে দিয়ে দিতে চান।
আরও পড়ুন : ব্রিটেনকে পাল্টা জবাব দিল চীন, দেশে বন্ধ করলো বিবিসির সম্প্রচার করলো বিবিসির সম্প্রচার
মান্যার সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব সুন্দরী মানসী চিল্লার। ২০১৭ সালে মানসী চিল্লার বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জিতে নিয়েছিলেন। মানসী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কমেন্ট করেন, “ভেঙে পড়ুক কাচের দেওয়াল।” এছাড়া একাধিক তারকাও মান্যার সাফল্যে আপ্লুত।