দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করায় বলিউড ক্যুইন কঙ্গনা রানাওয়াতের জুড়ি মেলা ভার। বিতর্কিত মন্তব্য করে বারংবার শিরোনামে আসার কারণে তাঁকে নেটিজেনদের অনেকেই “কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন” বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। আর এবার এই বলিউড অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করল টুইটার সংস্থা।
অভিযোগ ২ মে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই টুইটারে একের পর বিতর্কিত মন্তব্য করেন কঙ্গনা।এছাড়াও ভোট-পরবর্তী হিংসার জন্যও সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন বলিউড অভিনেত্রী।অভিযোগ, অভিনেত্রীর করা সেইসমস্ত টুইট মাইক্রো ব্লগিং সাইট সংস্থার নীতি লঙ্ঘন করেছে।
উল্লেখ্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে ইমেল মারফত অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী সুমিত চৌধুরী। তিনি দাবি করেন বাংলা এবং বাঙালির বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা রানাউত যা বাংলার আইনশৃঙ্খলার ভারসাম্য নষ্ট করছে।
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বরাবরের মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তৃণমূল কে একের পর এক বেনজির আক্রমণ করে চলেছেন কঙ্গনা। এমনকি বাংলাকে কাশ্মীরের সাথেও তুলনা করেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন “বাংলাদেশী আর রোহিঙ্গারাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল শক্তি। তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নেই। আর বাঙালি মুসলিমরা হল ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে সবচেয়ে গরীব। বাংলায় একটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।”
শুধু তাই নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে “রাবণ” বলে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাথেও তুলনা টানেন কঙ্গনা। তিনি বলেন “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যালুট জানাচ্ছি। কারণ যদি ভিলেন হতেই হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হন। রাবণের মত লড়াই করুন। রাহুল গাঁধীর মত গোগো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ী হওয়াই উচিত।”
তবে এখানেই থেমে যাননি অভিনেত্রী। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে একটি ট্যুইটে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ তিনি লিখেছিলেন “আগামীদিনে বাংলায় রক্তস্নান হবে। সরকার হেরে যাওয়ার ভয়ে রক্ত পিপাসু হয়ে উঠবে।”এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে বাংলায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ জানানো হয়। যার জেরে কতৃপক্ষের তরফে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট টি সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।