দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: তিলােত্তমা কলকাতা সংস্কৃতি , ইতিহাস ও ঐতিহ্যের চাদরে মোড়া। যার চাক্ষুস প্রমাণ হিসেবে গর্ব সহকারে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে কলকাতার কিছু প্রাচীন স্থাপত্য। কলকাতার ময়দানের কাছে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ এই ঐতিহ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। এই ক্যাথিড্রালে একবার হলেও নিশ্চয়ই গেছেন আপনি। তবে জানেন কি, এর ইতিহাস? চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এই চার্চের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস:
১৭৭২ সাল থেকে ১৯১১ সাল অবধি ভারতের রাজধানী ছিল প্রাণের শহর কলকাতা। তারই ফলস্বরূপ কলকাতায় বসবাসকারী ইউরােপীয় সম্প্রদায় ও তাদের পরিবার পরিজনের জন্য নির্মিত হয় এই অ্যাঙ্গলিকান ক্যাথিড্রাল।
১৮৪৭ সাল থেকে ইউনাইটেড কিংডমের বাইরে নির্মিত প্রথম বৃহৎ গির্জা হিসেবে জনসাধারণের জন্য সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চের দ্বার খুলে দেওয়া হয় । সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ এশিয়াতে নির্মিত প্রথম এপিসকোপাল চার্চ।
সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ নির্মাণের পিছনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন বিশপ ড্যানিয়েল উইলসন। ১৮৩৯ সালে ভবিষ্যতে ইতিহাসকে জীবন্ত করে তােলা অমােঘ বাসনা নিয়ে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল এবং এই নির্মাণ সম্পূর্ণ করতে প্রায় ৮ বছর সময় লেগেছিল । এই নির্মাণের নকশা তৈরি করেছিলেন মেজর উইলিয়াম নাইরেন ফোর্বস । প্রধান স্থপতি হিসেবে দায়িত্বভার পালন করেছিলেন সি . কে রবিনসন।
এরপর ১৮৪৭ সালের অক্টোবর মাসে এই চার্চের পথ চলা শুরু হয়। জানেন কি, এই পবিত্র দিনকে স্মরণ করে রাখতে রানী ভিক্টোরিয়া ১০ টি রুপাের পাত প্রদান করে ছিলেন। ১৮৫৮ সালে বিশপ উইলসনের মৃত্যুর পরে তাঁকে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চের মধ্যেই কবর দেওয়া হয়। আজও বড়দিনের সময় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী প্রচুর মানুষ ইতিহাসের সাক্ষী স্বরূপ গর্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা এই চার্চে প্রার্থনা করতে যান। এর স্থাপত্য ও নির্মাণ ও ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস একে কলকাতার অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত করেছে।