দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গতকাল অর্থাত্ নবমীর সকল থেকেই অবস্থা গুরুতর হতে শুরু করেছিল সৌমিত্র বাবুর। এই মূহুর্তে পাওয়া খবর অনুযায়ী তাঁকে রাখা হয়েছে এন্ডোট্র্যাকিয়াল ইনটিউবেশনে। হাসপাতাল ও সংবাদমাধ্যমের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ফুসফুসে নিউমোনিয়ার মতো সংক্রমণ রোখার জন্যই এই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। প্রায় কুড়ি দিন অতিক্রান্ত, করোনা আক্রান্ত অবস্থায় বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা। প্রথমে করোনামুক্ত হওয়ার পর বেশ চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছিলেন। কিন্তু আবার হটাত্ করেই অবনতি হতে শুরু করে স্বাস্থ্যের।
মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর শরীরের সমস্ত রকমের প্যারামিটারগুলি ঠিকঠাক কাজ করছিল। আচমকাই তাঁর মস্তিষ্কে স্নায়ুঘটিত সমস্যা শুরু হয়। ক্রমশ আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেতা। ফের স্টেরয়েড চালু হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। এমনকি এর আগে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়ার দরকার পড়ছিল না। তবে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে চিকিত্সকরা সৌমিত্র বাবুকে ভেন্টিলেশনে রাখার চিন্তাভাবনা করতে শুরু করেছিলেন। দেশবিদেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে ক্রমশ পরামর্শও করা হচ্ছে।
বেলভিউ হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর ফুসফুসে নিউমোনিয়ার মতো সংক্রমণ রোখার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে শরীরে ইউরিয়ার পরিমাণ বেশি রয়েছে তাঁর। কমছে প্লেটলেট, তাই অন্ত্রে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা চিকিত্সকদের। এছাড়াও ক্রমশ বাড়ছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্নায়ুর সমস্যা। প্লাসমা থেরাপি শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সেই থেরাপি শুরু করা হয়েছে কিনা এই মূহুর্তে টা জানানো হয় নি।
সৌমিত্র বাবু সত্যজিত রায়ের সাথে ১৪ টি ছবিতে কাজ করেছেন, সেই সাথে বাংলা সিনেমার জগতে মোট ২১০ টি ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তিনি ভারতীয় সিনেমার একজন উজ্জ্বল সূর্য। পেয়েছেন দেশ বিদেশের অনন্য সম্মাননা। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার জানিয়েছে তাঁর যাবতীয় চিকিত্সার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার, এমন কী বেলভিউ কতৃপক্ষও তাঁর পরিবারকে জমা করা টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। পরিবারের সকলেরও কাউন্সেলিং চলছে। তাঁর অনুরাগীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে আবার সেই চেনা ফেলুদাকে দেখা যাবে স্বমহিমাতে।