দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: রবিবার রাত থেকে অবস্থার অবনতি হচ্ছিল বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। সেই অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর হয়ে ওঠে সোমবার রাতে। তাঁর মস্তিষ্ক’র সাথে ফুসফুসের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যার ফলে তাঁকে ৪০% অক্সিজেন সাপোর্ট সহ এন্ডোট্র্যাকিয়াল ইনকিউবেশনে রাখা হয়েছিল। আর তারপর থেকেই
অতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এই মূহুর্তে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর দুটো কিডনিই আর স্বাভাবিক কাজ করছে না।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর কোভিড পরীক্ষায় পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ার পরে হাসপাতালে ভরতি হন সৌমিত্রবাবু। দীর্ঘ ২১ দিন ধরে লড়াই করছেন তিনি। এখন শরীরে করোনা না থাকলেও ৮৫ বছরের সৌমিত্র বাবু করোনা পরবর্তি লড়াইয়ে বয়স জনিত কারণে পিছিয়ে পড়ছেন এমনটাই মনে করছেন ডাক্তাররা। গতকাল দুপুরে তাঁর রক্তে প্লেটলেট কাউন্ট অনেকটা কম ধরা পড়লে ইনকিউবেশনে থেকে সরিয়ে তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়।
অভিনেতার চিকিৎসকদলের প্রধান অরিন্দম কর সোমবার রাতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সবিস্তারে সংবাদমাধ্যমকে জানান। তিনি জানান, ‘সৌমিত্রবাবু ভালো নেই এবং তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অনেকটাই অবনতি হয়েছে। তাঁর শরীরে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ব্লিডিং আমরা বন্ধ করলেও শরীরে তার প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, ডিহাইড্রেশন ও ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিন-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর প্রস্রাবের পরিমাণও সন্তোষজনক নয়।’
হাসপাতাল থেকে প্রকাশিত গত রাতের শেষ স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতি থেকে তাঁকে উন্নত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই প্রচেষ্টা খুবই কঠিন। প্রতি মুহূর্তে নতুনতর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বয়জনিত কারণ, একাধিক মারাত্মক জটিল রোগের সমাহার এবং প্রচুর পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগে শারীরিক প্রতিক্রিয়ার কারণে সমস্যা জটিলতর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
এমত পরিস্থিতিতে অভিনেতার সুস্থতা কামনা করছেন সকলেই। সকলেই চাইছেন আশঙ্কার ঘন মেঘ কেটে গিয়ে ফেলুদা আবার স্বমহিমাতে বিচরণ করুন তাঁর কাজের পরিসীমাতে।