দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ৮৫ বছর বয়সী প্রবীন অভিনেতা এখনও ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন। তবে তাঁর পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আজ দুপুর থেকে দুটি কিডনিতেই সমস্যা দেখা গিয়েছে এর আগে কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথির কারণে মস্তিষ্ক আগেই স্বাভাবিকভাবে কাজ করা বন্ধ করেছিল। বর্তমান খবর অনুযায়ী তাঁর রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি শুরু হয়েছে।
রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি দুটি কিডনি কাজ বন্ধ করলে দেওয়া হয়। এই থেরাপিতে হেমোডায়ালিসিস, হেমোফিল্টারেশন এবং হেমোডায়াফিল্টারেশনের মাধ্যমে রক্তকে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিন মুক্ত করা হয়। এর পাশাপাশি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ। যার কাউন্ট ক্রমশ নিম্নমুখী।
মঙ্গলবার সৌমিত্রবাবুর ফের একদফা শারীরিক পরীক্ষা হয়। জানা গিয়েছে শারীরিক অবস্থা আগের থেকে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সঙ্কট একেবারেই কাটেনি। গত ২১ দিন ধরে মিন্টো পার্কএর বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ৬ অক্টোবর তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর পরেরদিন হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তবে আক্রান্ত হওয়ার দু-সপ্তাহের মধ্যে করোনা মুক্ত হন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘এন্ডোট্র্যাকিয়াল ইনটিউবেশন’ তথা ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। চিকিত্সকদের তরফে জানানো হয়েছে- ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। সম্পূর্ন ভেন্টিলেশনেও অভিনেতার অক্সিজেন স্যাচুরেশনের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। এই মুহূর্তে সৌমিত্রবাবুর স্নায়ুর সচেতনতা অর্থাত্ গ্লাসগো কোমা স্কেলে সূচক রয়েছে ৯-এর কাছাকাছি, তা চিকিত্সকদের উদ্বিগ্ন রেখেছে।
সেই সাথে প্রবীণ অভিনেতার এক্স-রে রিপোর্টে নতুন নিউমোনিয়ার ‘প্যাচ’ দেখা দিয়েছে। মূলত বয়স এবং কো-মর্বিডিটি তাঁর চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথির সমস্যা কিছুতেই কাটছে না, তাই আচ্ছন্ন অবস্থাতেই রয়েছেন প্রবীন অভিনেতা। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চেতনা ফেরাতে ভেন্টিলেশনের উপর নির্ভর করে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ১৪ দিনের মাথায় করোনামুক্ত হওয়ার পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চিকিত্সা সাড়া দিচ্ছিলেন তবে অষ্টমীর দিন থেকে নতুন করে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আপতত বর্ষীয়ান অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতিকে চিকিত্সাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হচ্ছে ‘হেমোডায়নামিক্যালি স্টেবল’।