দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বিশ্ব চলচ্চিত্র দুনিয়ায় আরও এক নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন হলিউডের বর্ষীয়ান গ্ল্যাম তারকা শন কনারি। যাকে বহু অনুরাগী চেনেন হলিউডের প্রথম জেমস বন্ড হিসাবে। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত শরীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন সাতটি জেমস বন্ড ফিল্মে অভিনয় করা এই দুঁদে অভিনেতা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। এই স্কটিশ তারকা গত আগস্টেই নিজের জন্মদিনে সেলিব্রেট করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, শন কনারি ১৯৬২ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি একটানা ইয়ান ফ্লেমিংয়ের সৃষ্ট জেমস বন্ড সিরিজের মোট ৭টি বন্ড ছবিতে অভিনয় করেছেন। ফিল্ম সমালোচকদের মতে জেমস বন্ডকে রুপোলি পর্দায় তাঁর মতো আর কেউই ফুটিয়ে তুলতে পারেননি। তাঁর অভিনীত জেমস বন্ড ছবি গুলি হলো ড. নো (১৯৬২), ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ (১৯৬৩), গোল্ডফিঙ্গার (১৯৬৪), থাণ্ডারবল (১৯৬৫) এবং ইউ অনলি লাইভ টুয়াইস (১৯৬৭)। বন্ড সিরিজে প্রথম পাঁচটি ছবিতে গুপ্তচর জেমস বন্ড হিসাবে দর্শক পেয়েছিল তাঁকে। এরপর বার চার বছর পর ডায়মণ্ডস আর ফরএভার (১৯৭১) এবং নেভার সে নেভার এগেইন (১৯৮৩) ছবিতে ফের বন্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।
জেমস বন্ডের চরিত্রের জন্যই তিনি পরিচিত হলেও অস্কার জয়ের জন্যে তাঁর পরিচিতি ১৯৮৮ সালের ছবি ‘দ্য আনটাচেবল’। এই চলচ্চিত্রে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবে অস্কার পুরস্কার জয় করেন শন কনারি। এছাড়াও মেরিন, ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড, দ্য হান্ট ফর রেড অক্টোবর, ড্রাগনহার্ট, দ্য রক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন এই জনপ্রিয় তারকা।


একবার অস্কার ছাড়াও তিনবার গোল্ডেন গ্লোব এবং দু’বার বাফটা (BAFTA) পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে শন কনারি। ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ তাঁকে নাইটহুড সম্মানে সম্মানিত করেন। তাঁর দীর্ঘ চেহারা ও ভরাট গলা অনেক দেশের অভিনেতাকেই অনুপ্রাণিত করেছে, আমাদের বিগ-বি’র কিছু কিছু অভিনয়ের সাথে শন কনারি’র অভিনয়ের মিল দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন হলিউড সহ বিশ্বের বিভিন্ন ফিল্ম ইনডাস্ট্রি।

