দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: চরম উদ্বেগজনকভাবে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা ইন্টারনাল ব্লিডিংয়ের সমস্যা বেড়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। বেলভিউ সূত্রে জানা যাচ্ছে মেডিকেল টিমের প্রধান ডক্টর অরিন্দম কর রবিবার রাতের বুলেটিনে জানান, সব মিলিয়ে আশা ক্রমেই কমে আসছে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাত্রে আচমকাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছয় সৌমিত্রবাবুর শারীরিক পরিস্থিতি। রক্তক্ষরণের কারণে ওঠা-নামা করতে থাকে হিমোগ্লোবিন। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই চার ইউনিট রক্ত দিতে হয়েছে তাঁকে। সব মিলিয়ে ক্রমেই যেন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধে মাটি হারাচ্ছেন ফেলুদা।
বেলভিউ সূত্রে রাতের বুলেটিনের সারাংশ- সৌমিত্রবাবুর শরীরের ভিতরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি, তা নিয়ন্ত্রণও করা যায়নি। অভিনেতার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বা পরিমাণ ওঠানামা করছে। তাঁকে ইতিমধ্যেই চার ইউনিট রক্ত দিতে হয়েছে।
তাঁর শরীরের ঠিক কোথায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা জানতে সিটি অ্যানজিও করা হয়েছে তবে এই অ্যানজিওর সঙ্গে হার্টের বা করোনারি অ্যানজিওগ্রাফির সম্পর্ক নেই। রক্তক্ষরণের জায়গা চিহ্নিত করতেই এটি করা হয়েছে। যদিও এখনও তা পুরোপুরি সফল হয়নি।
এর পরেও আরও একটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি এবং পোস্ট সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফিও করা হবে অভিনেতার। তবেই রক্তক্ষরণের চিত্রটা আরও পরিষ্কার হবে। চিকিত্সার গতিমুখও সুনির্দিষ্ট হবে।
ডক্টর কর জানিয়েছেন ভাস্কুলার সার্জেন, অ্যানাস্থেসিস্ট- সকলের সঙ্গেই বিস্তারিত কথা হয়েছে । আগামী কাল গোটা দিনই ফেলুদার রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর থাকবে চিকিত্সকদের। কোথাও কোনও রকম ত্রুটি যেন না থাকে চিকিত্সায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আজ অ্যানজিওগ্রাফির পর তৃতীয়বার ডায়ালিসিসও করা হয়েছে সৌমিত্রবাবুর। ডায়ালিসিসের পর ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিন লেভেল খানিকটা ঠিক আছে। তবে চিকিত্সকরা বলছেন, ২৫ দিন হয়ে গিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সৌমিত্রবাবুকে। একে তাঁর কোভিড হয়েছিল। তার পর ৮৫ বছর বয়সের এক জন মানুষের এত কো-মর্বিডিটি। মস্তিষ্কও সে ভাবে সাড়া দিচ্ছে না। সেটাও ভাল লক্ষণ নয়।
বেলভিউ ক্লিনিকের চিকিত্সক অরিন্দম কর বলেন, “আমরা আর বেশি আশা দেখছি না।” অভিনেতার রোজই একটু করে একটু পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে যা ক্রমেই আশঙ্কার মেঘ ঘন করে তুলছে।