দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গতকাল দুপুর ১২:১৫ মিনিটে প্রয়াত হয়েছেন বাংলার স্বর্ণযুগের শেষ কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ ৪০ দিন ধরে তিনি তাঁর অসুস্থতার সাথে যেভাবে লড়াই করলেন সেটা যে এইভাবে শেষ হয়ে যাবে রবিবার সকাল ১১ টা অবধি কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি। যদিও মেডিক্যাল টিমের ইঙ্গিত ছিল যে কোনও মুহুর্তেই আসতে পারে দু:সংবাদ। কিন্তু প্রত্যেকেই একটা চমত্কার বা অলৌকিক ঘটনার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। নিয়তি ভিলেনের হাতে ‘ফেলুদা’ কে হার মানতেই হলো।
সৌমিত্র বাবু তাঁর পেশাদার জীবনের এমন টা সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে ছিলেন যেখানে তিনি নিজেই একজন ইতিহাস। সুতরাং অভিনেতার প্রয়াণে কেবল টলিউড নয়, গোটা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের এক বড় ক্ষতি সে কথা বলাই বাহুল্য। কাল দুপুর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এদিন বেজে ওঠে বিষাদের সুর। মন ভার বলিউডেরও। খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ভরতে থাকে প্রতিক্রিয়ায়। একইভাবে স্মৃতিচারণায় সামিল অমিতাভ বচ্চনও। কিন্তু তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রবিবার গভীর রাতে, হয়ত এভাবে সৌমিত্রবাবুর চলে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে একটু সময় লেগেছে।


কলকাতা চলচ্চিত্র উত্সব সহ দেশের বহু মঞ্চে সৌমিত্র বাবু কে অমিতাভের সাথে দেখা গিয়েছে। দুজনেই ভারতীয় সিনেমার দুই স্তম্ভ। সেজন্যে অমিতাভ এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় সৌমিত্রবাবুর সাথে তাঁর একটি ছবি শেয়ার করে লিখলেন, “ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের একটি স্তম্ভ পতন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু,এক লেজেন্ড অভিনেতা চলে গেলেন।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অভিনেতার শেষ যাত্রার নেতৃত্ব দেন। ‘ফেলুদা’যে দল মত নির্বিশেষে সকলেরই সে কথা প্রকাশ পায় একই মিছিলে সূর্য-বিমান-সুজন দের সাথে তৃণমূলের হেবিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের পথ চলাতে। কেওড়া তলা মহাশ্মশানে গান স্যালুটে বিদায় জানানো হয়। এরপর এক অনন্ত কালের অপেক্ষা বাঙালীর মনে প্রবেশ করলো। ওই বুঝি আবার হেঁটে আসছে ক্ষীতদা। ওই বুঝি ফেলুদা ডাক দিলে বললে ‘তোপসে’ সাবধান!