দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কঙ্গনা রানাওয়াতের মুখে অবশেষে জয়ের হাসি। গত সেপ্টেম্বর মাসে মণিকর্ণিকা খ্যাত নায়িকার অফিস বাড়ি মাত্র ২৪ ঘন্টার নোটিশে ভেঙে দেয় বৃহন্মুম্বই পৌরসভা। বিএমসি’র এই পদক্ষেপ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন কঙ্গনা। অবশেষে সেই মামলায় বম্বে হাইকোর্টে বড় জয় পেলেন অভিনেত্রী। আজ আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দেয় যে বিএমসিকে এই মামলায় মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
উল্লেখ্য শুক্রবার বম্বে হাইকোর্ট তাদের রায়ে জানায়, বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে গত ৭ ও ৯ সেপ্টেম্বর পালি হিলসে অবস্থিত কঙ্গনা রানাওয়াতকে যে সম্পত্তি ভাঙার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল হাইকোর্ট তা খারিজ করে দিল। আজ ওই রায়ের কপিতে জাস্টিস এসজে কাথাওয়ালা এবং জাস্টিস রিয়াজ চাগলার ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে কঙ্গনার অফিস খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ভেঙেছে বিএমসি।
আজ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে যে কঙ্গনার অফিস বাড়ি ভাঙার ফলে মোট কত কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস করেছে বিএমসি, তার নির্দিষ্ট ‘হিসাব’ পাওয়ার জন্য আদালতের তরফে শেঠগিরি এণ্ড অ্যাসোশিয়েটস-কে মূল্যনির্ধারক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে তাঁরা তাদের এই রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে আদালত জানিয়ে দেবে যে বিএমসিকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আজ আদালত নিজেদের রায়ের কপিতে জানায় ,কোনও ব্যক্তির দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যকে এড়িয়ে চলতে হবে যা হতেই পারে বিরক্তিকরএবং এই জাতীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এভাবে সরকারী কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে, সেই ব্যক্তি বা তার সম্পত্তির উপর রাষ্ট্র অকারণে আঘাত হানতে পারবে না।
আজ বিএমসিকে এই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মত প্রকাশ সম্পর্কে কঙ্গনাকেও অধিক সর্তক হতে বলেছে বম্বে হাইকোর্ট। সেই সাথে নিজের ভাঙা সম্পত্তিকে বাসবাসযোগ্য করে গড়ে তোলার নির্মাণের ক্ষেত্রে বিএমসির প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে অভিনেত্রীকে, সেটাও আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে।
আদালতের এই রায় পেয়ে কঙ্গনা টুইট এ জানিয়েছেন “যখন ব্যক্তি সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং জয়লাভ করে, এটা ব্যক্তির বিজয় নয়, বরং এটা গণতন্ত্রের বিজয়। যারা আমাকে সাহস দিয়েছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ এবং যারা আমার ভাঙ্গা স্বপ্ন নিয়ে হাসাহাসি করেছে তাদের ধন্যবাদ। এর একমাত্র কারণ তুমি একজন খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করো যাতে আমি হিরো হতে পারি।”