দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতারের প্রায় তিন মাস পর মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ আদালত থেকে অভিনেতা রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে গ্রেফতারের প্রায় এক মাস পর গত অক্টোবরে অভিনেত্রী চক্রবর্তী জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।
জুন মাসে অভিনেতা রাজপুতের মৃত্যু ঘিরে মাদকের অপব্যবহারের অভিযোগের তদন্তকারী নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) রাজপুতের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা সহ শৌভিক চক্রবর্তীকে গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক বিরোধী আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মুম্বাই আদালত সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় উদ্ধৃত করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে একজন এনসিবি কর্মকর্তার সামনে বিবৃতি বা স্বীকারোক্তি গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নয়। শৌভিক চক্রবর্তী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন। যদিও অক্টোবর মাসে, শৌভিক চক্রবর্তীর জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয় যখন তার দিদি রিয়া জামিনে ছাড়া পায়। আদালত বলেছে যে “তিনি নিষিদ্ধ পদার্থ পাচারের সাথে জড়িত মাদক ব্যবসায়ীদের একটি শৃঙ্খলের অংশ” যে বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
এর আগে রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয় যখন তিনি তার প্রেমিক প্রয়াত রাজপুতের ব্যবহারের জন্য মাদক দ্রব্য সরবরাহ করেছিলেন। যেখানে রিয়াকে “মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য” এবং মাদক দ্রব্যের অর্থায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। মাদক বিরোধী সংস্থা (NCB) বারবার বলেছে যে ভাই-বোন জুটি তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য নয়, প্রয়াত অভিনেতা রাজপুতকে সরবরাহ করার জন্য মাদক দ্রব্য কিনেছে, যা মাদকের তহবিল সম্পর্কিত “আরো গুরুতর অপরাধ”। এনসিবি ২৮ বছর বয়সী রিয়া চক্রবর্তীকে “মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য” বলে অভিহিত করেছে।
উল্লেখ্য, সুশান্ত সিং রাজপুতকে জুন মাসে তার মুম্বাইয়ের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মুম্বাই পুলিশ একটি আত্মহত্যার তদন্ত শুরু করে কিন্তু অভিনেতার পরিবার মিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মানসিক হয়রানি এবং তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আনেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক লড়াই এবং চাপানউতরের পর সুপ্রীমকোর্টের হস্তক্ষেপে সিবিআইকে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। এরপর একে একে ইডি ও এনসিবি তদন্তে যোগদান করেন।