দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: তারকাদের ফেক ফলোয়ারের কথাটা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির ওপেন সিক্রেট। তবে এবার এলো সবার সামনে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফেক ফলোয়ারের মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা বজায় রাখার কাণ্ডে নাকি প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং দীপিকা পাড়ুকোনের মতো অভিনেত্রীরাও রয়েছে।
সম্প্রতি মুম্বই পুলিশের একটি তদন্তে জানা গিয়েছে, বলিউডের বেশ কিছু সেলেব্রিটি নকল ভক্তসংখ্যা দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছেন। কেউ ভিডিওতে লাইক বাড়াচ্ছেন, কারও এনডর্সমেন্টে লাভের অঙ্ক বাড়ছে। এই ফলোয়ারের সংখ্যার দৌলতেই তারকাদের ছবি-ভিডিয়োয় লাইক বেশি হয়, যার প্রভাব সরাসরি পড়ে এঁদের ব্র্যান্ড এনডর্সমেন্টের উপরে।


শুধু ইনস্টা নয়, টুইটার এবং ফেসবুকের ভক্তসংখ্যাও সন্দেহের বাইরে নয়। অনেক তারকা যেমন নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সামলান। অনেকে সংস্থা মারফত কাজ করান। তবে নিজে পোস্ট করলেও প্রায় সকলেরই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার রয়েছে। তেমনই কিছু এজেন্সিও রয়েছে, যারা নকল প্রোফাইল তৈরি করে এবং তা এমন ভাবে চালায়, যে চট করে বোঝা মুশকিল সেটি আসল না নকল। টাকার বিনিময়ে তারকারা এই সব ফেক প্রোফাইল কেনেন এবং নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করেন বলে শোনা যায়।
এ প্রসঙ্গে গায়ক বাদশাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। বাদশার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ৭২ লক্ষ টাকা দিয়ে নকল ফলোয়ারের মাধ্যমে তাঁর মিউজ়িক ভিডিয়োর ‘ভিউজ়’ বাড়িয়েছেন। মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাদশা অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন।
গত বছর বাদশার মিউজ়িক ভিডিও ‘পাগল হ্যায়’ মুক্তি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭.২ কোটি ভিউজ় পায়, যা রেকর্ড। টেলর সুইফ্ট বা বিটিএস-এর মতো ব্যান্ডের রেকর্ডকেও ভেঙে দেয়। এর পরেই নাকি বাদশার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে।
অন্য দিকে, সেলেব্রিটিদের উপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত যে ট্রোলিং চলে, তা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে মুম্বই পুলিশের কাছে। সেই সব অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ফেক প্রোফাইলের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি ট্রোলিং চলে। বলিউডের অনেক তারকার প্রোফাইলে নজরদারিও চালানো হয়। ইনস্টাগ্রামে প্রিয়ঙ্কার অনুগামী সংখ্যা ছ’কোটির কাছাকাছি, দীপিকার পাঁচ কোটির সামান্য বেশি। সেই সূত্রেই নাকি প্রিয়ঙ্কা ও দীপিকার নাম উঠে এসেছে। তবে দুই নায়িকাই এ ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।