দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বলিউডের কুইন কঙ্গনা রানাউত। তবে এই বলিউডের এই বিশাল যাত্রাটা খুব সহজ ছিল না তার জন্য। ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের এই জায়গায় পৌঁছেছেন তিনি। আর তাই বলিউডের অন্ধকার দিক ও নিজের জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা রানাউত জানান, “আমি যখন মানালি ছেড়ে মুম্বাইয়ে আসি তখন আমার বয়স ১৬ বছর। একটা বিউটি কন্টেস্ট জিতে মুম্বাই এসেছিলাম। তারপর এক মহিলার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয় এবং তার সঙ্গে থাকতে শুরু করি। পরে একজনের সঙ্গে আলাপ হয়। সে আমাকে বলিউডে কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।”
কুইনের কথায়, “আমরা তিনজন একসঙ্গে থাকতে শুরু করি। কিন্তু একসময় ওই চরিত্রাভিনেতা আমাকে পরামর্শ দিতে শুরু করেন। এমনকি আমার সঙ্গে থাকা মহিলাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর থেকে ওই ব্যক্তির কথায় উঠতে-বসতে হতো আমাকে।” “উনি আমাকে বিভিন্ন পার্টিতে নিয়ে যেতেন। একদিন আমি নেশাগ্রস্ত হয়ে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হই। কিন্তু পরে বুঝতে পারি এটা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়েছিলো। সেদিন পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয় আমাকে। তারপর থেকেই ওই ব্যক্তি আমার সঙ্গে স্বামীর মতো আচরণ করতেন। প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাকে মারধর করতেন।”
বলিউডের নামি তারকাদের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ আনছেন কঙ্কনা। পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার দিক নিয়েও একাধিকবার প্রকাশ্যে কথা বলেছেন তিনি। অভিনেত্রী আরও জানান, “একটা সময় ওই অভিনেতা আমাকে দুবাইয়ের কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ফোন নাম্বার নিতে বলেছিলেন। ভয় পেয়েছিলাম যদি আমাকে দুবাইয়ে পাচার করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, আমি বলিউডে সুযোগ পেয়েছি জেনেও ক্ষুব্ধ হন তিনি। সে আমাকে শুটিংয়ে না যাওয়ার জন্যও হুমকি দিয়েছিলেন। বিষয়টি পরিচালক অনুরাগ ক্যাশপকে জানিয়েছিলাম। পরে সে আমাকে তার অফিসে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
বলিউডে যাত্রা শুরুর পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে কঙ্গনা রানাউতকে। তবে সুশান্তের মৃত্যুর পর তার প্রতিবাদের সুর আরও চওড়া হয়েছে। আর তাই তিনি তার ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন।