দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কিছুক্ষণ আগের খবর, মাদককাণ্ডে নরকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো হাতে গ্রেফতার রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী। এর সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও। তবে এই মুহূর্তে রিয়ার ফোন বন্ধ রয়েছে বলে জানাচ্ছে আমাদের মুম্বাইয়ের সংবাদদাতা। সূত্রের খবর, শনিবার ডাকা হতে পারে রিয়া চক্রবর্তীকেও। উল্লেখ্য, সৌভিককে আজ দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা জেরা করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা।
এদিকে লাগাতার জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সৌভিক চক্রবর্তী। সৌভিক স্বীকার করে নিয়েছে, সুশান্তের বাড়িতে রিয়ার নির্দেশেই আনা হত মাদক। আর এ ড্রাগ ড্রাগ কেনা হত স্যামুয়েল মিরান্ডার মাধ্যমেই বলে জেরায় জানিয়েছে সৌভিক। রিয়ার নির্দেশে একবার নয় একাধিকবার ড্রাগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌভিক। সৌভিকের স্বীকারোক্তির বেশকিছুক্ষণের পরই গ্রেফতারির খবর জানা যায়।
ইতিমধ্যে সুশান্ত সিং হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তে মাদক যোগ সামনে আসায় মাদক বিক্রি ও সরবরাহর অভিযোগে সৌভিকের সঙ্গে যুক্ত বসিত, ভিলাত্রা, ফৈয়াজ ও কাইজান নামে আরও চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। ধৃতরা প্রত্যেকে জেরায় সৌভিকের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে খবর। এর পাশাপাশি খোঁজ চলছে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ফারুক বাটাটার।
ইতিমধ্যে আজ সুশান্ত সিং মৃত্যুর ঘটনায় প্রথমবার বিবৃতি দিল সিবিআই এর তদন্তকারী দল। CBI তাঁদের বিবৃতিতে জানিয়েছে সুশান্ত মামালায় কিছু সংবাদমাধ্যম ভুল তথ্য দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই কেসের সঙ্গে যুক্ত কোনো ধরণের তথ্যই CBI-এর তরফে সংবাদমাধ্যমের কাছে জানানো হয় নি।
CBI-এর আধিকারিক জানান- ”CBI পেশাদারিত্বের সঙ্গে সুশান্ত মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। অনুমানের ভিত্তিতে তদন্তের বিষয়ে কিছু সংবাদমাধ্যম ভুয়ো খবর প্রকাশ করেছেন। সেগুলির সঙ্গে মূল তথ্যের কোনও সম্পর্ক নেই। তদন্ত চলাকালীন কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনতে পারে না সিবিআই।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়, সুশান্ত মামলায় খুনের কোনও প্রমাণ সিবিআই আধিকারিকরা পাননি। এই প্রতিবেদন যে ভুল সেটা জানাতেই CBI-এর তরফে এই মামলা প্রসঙ্গে প্রথমবার বিবৃতি জারি করা হল। এছাড়া সুশান্ত মামলার পাশাপাশি সুশান্তর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যুরও তদন্তও শুরু করেছে সিবিআই। দিশার সঙ্গে সুশান্তের মৃত্যুর কোনও যোগ রয়েছে কিনা সেই সাথে দিশার সংস্থাও মাদক কাণ্ডে দায়ী কিনা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।