দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কঙ্গনা সম্পর্কে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী সঞ্জয় রাউতের করা ‘হারাম খোর’ উক্তি মুম্বাই ও তার আশপাশের অঞ্চল সহ সারা দেশেই নিন্দিত হয়েছে ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এরই মাঝে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে হুমকি দিলেন কঙ্গনা রানাউতের সমর্থক উর্ফ করণি সেনা’রা। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কঙ্গনাকে মুম্বাই এলে দেখে নেওয়ার ফতোয়ার কারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরি সুরক্ষা দিয়েছে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র সরকারের ব্যক্তিগত রোষ কিছুতেই কমছে না, আজ পালি হিলসে কঙ্গনা’র অফিস ভেঙে দেয় বৃহনমুম্বাই পৌরসভা।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর দীর্ঘ ৬০ দিন পর তদন্তে নেমে একের পর এক জট খুলছে দেশের তিন বড়ো এজেন্সি ইডি, সি বি আই এবং এন সি বি। গতকাল এনসিবির প্রশ্নের মুখে মুখ থুবড়ে পড়ে সুশান্ত মামলার এক অভিযুক্ত অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই তাকে মাদক সংক্রান্ত বেআইনি বিষয়ে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়।
কিন্তু এবার এই মাদক কে কেন্দ্র করেই অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত আবার সমালোচনার শীর্ষে। তিনবছর আগে একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা রানাউতের প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড অধ্যয়ন সুমন দাবি করেছিলেন যে অভিনেত্রী নিজের জন্মদিনে নিজেও কোকেন মাদক সেবন করা কথা বলেছেন। শুধু তাই নয় সুমনকেও জোর করে মাদক দিয়েছিলেন কঙ্গনা।
উল্লেখ্য, রিয়া চক্রবর্তী সহ শৌভিক ও স্যামুয়েল কে এনসিবি জেরা করার পর বলিউডের মাদকময় অন্ধকারের নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। এমনকি সম্প্রতি বলিউডের সাইফ আলী খান থেকে ববি দেওল রাও নিজেদের হতাশা থেকে মাদক সেবন করা ও ক্রমে সমাজের সুস্থপ্রবাহে ফিরে আসার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন। কিন্তু এবারে এই বিষয়টা মহারাষ্ট্র সরকারের চেয়ার ধরে টানাটানি শুরু করেছে, আর সে কারণেই যেন তেন প্রকারেণ কঙ্গনাকে আটকাতে বদ্ধ পরিকর মহারাষ্ট্র সরকার।
মঙ্গলবার সুমনের পূরনো ইন্টারভিউ টিকে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নজরে আনেন শিবসেনা বিধায়ক সুনীল প্রভু ও প্রতাপ সর্নায়েক। আর এই ইন্টারভিউ’র ভিত্তিতেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মহারাষ্ট্র সরকার সূত্রে খবর।
খবরটি বাইরে লিক হতেই মহারাষ্ট্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের কাছে হুমকি’র ফোন কল আসে। জানা গিয়েছে, কঙ্গনা রানাউতের কিছু ভক্ত উর্ফ করণি সেনা এই কাজ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্যালয়ের এক আধিকারিক জানান যে, ‘ যে ফোন করেছিল, সে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মন্ত্রীর বিবৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। মুম্বাই পুলিশকে এই ফোনের বিষয়ে জানানো হয়।’
উল্লেখ্য, সূত্রের খবর দেশমুখ জি’ও এই ফোনকলের সত্যতা স্বীকার করেছেন । তিনি বলেন যে, ‘হ্যাঁ আমি এরকম ফোন পেয়েছি এবং মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ সেটির তদন্ত করছে’। প্রসঙ্গত, আজ কঙ্গনা মুম্বাই এয়ারপোর্ট এ নামার পর তাঁকে রিটার্ন টিকিট দেখতে বলা হয় নতুবা তাঁকে ১৪ দিনের কোয়ারিন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয় বিএমসি। কঙ্গনার সমর্থনে প্রায় ১০০০ করণি সেনা সমর্থক এয়ারপোর্ট এর বাইরে জড়ো হয়েছে এবং তারা জাস্টিস ফর কুইন, জাস্টিস ফর কঙ্গনা বলে স্লোগান দিতে থাকে।