দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গত পরশু, অর্থাত্ ৯ তারিখে মুম্বাইয়ে কঙ্গনার কার্যালয়টি বিএমসি অন্যায় ভাবে ভেঙে দেয়। আর এর ঠিক দুদিন পর শুক্রবার অভিনেতা কঙ্গনা রানাউত কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে শ্রীমওয়াটি গান্ধীর এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত এবং মহিলাদের ওপর শিবসেনার হয়রানি বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
রানাউত, যিনি তাঁর মন্তব্যে মুম্বাইকে ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে’র সাথে তুলনা করে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন শিবসেনার সাথে এক প্রকাশ্য লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন। কঙ্গনা বলেন, ইতিহাস সোনিয়া গান্ধীর “নীরবতা এবং উদাসীনতা” বিচার করবে। উল্লেখ্য এই মূহুর্তে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সাথে জোটবদ্ধ রয়েছে সোনিয়া’র কংগ্রেস।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তা এই অভিনেতা তাঁর টুইটারে পোস্ট এ লিখেছেন- “প্রিয় শ্রদ্ধেয় মাননীয় @ আইএনসি ইন্ডিয়া সভাপতি সোনিয়া গান্ধী জি, আপনার মহারাষ্ট্রের সরকার আমার ওপরে যে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে তাতে কি আপনি বিরক্ত হন না? আপনি কি আপনার সরকারকে ডঃ আম্বেদকরের দেওয়া সংবিধানের নীতিগুলি ধরে রাখতে অনুরোধ করতে পারবেন না? “।
প্রসঙ্গত রানাউত প্রায়শই তার বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য খবরের শিরোনামে আসেন। তিনি এও বলেছেন যে, শ্রীমতি গান্ধী পশ্চিমে বেড়ে উঠেছেন এবং ভারতে বাস করেছিলেন এবং নারীদের সংগ্রাম সম্পর্কে অবশ্যই তিনি সচেতন।
তিনি অন্য একটি টুইটে যুক্ত করেছেন যে “যখন আপনার নিজের সরকার নারীদের হয়রানি করছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে সম্পূর্ণ বিদ্রূপ নিশ্চিত করছে তখন ইতিহাস আপনার নীরবতা এবং উদাসীনতার বিচার করবে। আমি আশা করি আপনি @ আইএনসি ইন্ডিয়ার হয়ে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন, ”।
উল্লেখ্য, বুধবার রানাউতের কার্যালয়ে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন বৃহন্নুম্বাই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (বিএমসি) “অবৈধ” নির্মাণ ভাঙার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল এবং রাণাউতের মণিকর্ণিকা কার্যালয়টি সম্পুর্ন ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
নাগরিক কর্তৃপক্ষ তার অফিসের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়ার পর থেকেই ৩৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা টুইটারে মহারাষ্ট্র সরকারের সমালোচনা করে চলেছেন । এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রানাউত মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে “ক্ষমতার অপব্যবহার” করার জন্য এবং তাঁর কণ্ঠকে চাপা দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করে মহারাষ্ট্র সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া এই ‘কুইন’ অভিনেতা বিএমসিকে গুন্ডাদের সাথে তুলনা করে একাধিক টুইট পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি মারাঠি সংস্কৃতি ও গর্বকে স্মরণ করে রাজ্য সরকারকে “মিলবত সরকার” বলে খোঁচা মারেন।