দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ সকালে কঙ্গনা রানাউত তার মুম্বাই বাসভবন থেকে মানালিতে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। মুম্বাই ত্যাগের আগে টুইটারে একটি বিচ্ছিন্ন নোট শেয়ার করে কঙ্গনা বলেছেন- “যেভাবে আমি এতদিন ভয় পেয়েছিলাম, যেভাবে আমার কাজের জায়গার পর আমার বাড়ি ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছিল, আমার চারপাশে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে নিরাপত্তা কে সতর্ক করতে হবে, মুম্বাই ছেড়ে যাওয়ার সময় অবশ্যই বলতে হবে যে মুম্বাই সম্পর্কে আমার ‘পিওকে’ (POK) উপমা সত্যিই বিস্ফোরক।” উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে টুইটারে মহারাষ্ট্রের সাংসদ সঞ্জয় রাউতের হুমকি প্রসঙ্গে কঙ্গনা মুম্বাইকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সাথে তুলনা করেছেন, যা জনমানসে ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে।
প্রসঙ্গত, কঙ্গনা গত সপ্তাহে (৯’ই সেপ্টেম্বের) মুম্বাইয়ে একটি নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্যে মুম্বাই প্রবেশ করেছিলেন, যেখানে তিনি তার বোন এবং ম্যানেজার রঙ্গোলি চান্দেলের সাথে এসেছিলেন সাথে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দেওয়া ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা কর্মীরা ছিলেন। সেই দিনেই, বান্দ্রায় তার অফিসের অনেকটা অংশ বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ভেঙ্গে ফেলে। মাত্র ২৪ ঘন্টা সময়ে ‘অবৈধ নির্মাণ’ নোটিশ দিয়ে বিএমসি কঙ্গনার পালি হিলসের অফিস ভেঙে দেয়।
এই বিষয়ে কঙ্গনা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “গত ২৪ ঘন্টায় আমার অফিসকে হঠাৎ করে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তারা আসবাবপত্র এবং আলোসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে এবং এখন আমি হুমকি পাচ্ছি যে তারা আমার বাড়িতে এসে তা ভেঙ্গে ফেলবে, আমি আনন্দিত যে সিনেমা মাফিয়াদের প্রিয় বিশ্বের সেরা মুখ্যমন্ত্রীর রায় সঠিক ছিল।” তার থাকাকালীন সময়ে কঙ্গনা কর্ণী সেনা কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথাওয়ালের সাথে সাক্ষাৎ করেন। গতকাল তিনি মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিংহ কোশিয়ারি জি’র সাথে দেখা করেন সেই সাথে টুইটারে সাংসদ সঞ্জয় রাউতের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন যে, শিবসেনার গুণ্ডারা তার মুখ ভেঙে, তাঁকে ধর্ষণ করে মেরে ফেললে কী তিনি ও তাঁদের NCP সরকার খুশি হবে?
উল্লেখ্য, মার্চ মাসে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই, কঙ্গনা তার পরিবারের সাথে মানালিতে নিজের বাড়িতে রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি টুইটারে যোগ দান করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সুশান্ত সিং রাজপুতের’ মৃত্যু রহস্য সহ বলিউডের মাদক যোগ নিয়ে একের পর এক তাঁর অগ্নিগর্ভ মতামত প্রকাশ করছেন।