দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরে প্রকাশ্যে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা বলিউডের স্বজনপোষণ বিতর্ককে উস্কে দিলেন জনপ্রিয় বলি তারকা রণবীর শোরে।
উল্লেখ্য, মাদক কেলেঙ্কারিতে জেরবার বলিউডের বিষয়ে সাংসদ রবিকিষনের বক্তব্যের বিরোধীতায় মঙ্গলবার রাজ্য সভায় সাংসদ জয়া বচ্চন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির নামে কলঙ্ক লেপনের তীব্র বিরোধিতা করেন। আর তারপর থেকেই জয়া বচ্চনের এই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গিয়ে বলিউড কার্যত তোলপাড়।
আজ জয়া জি’র সেই বক্তব্যের পাল্টা হিসেবে নিজের টুইটে রণবীর জানিয়েছেন, বলিউডে কদর্যতা তো রয়েইছে। যাঁরা তা আড়াল করতে চাইছেন, হয় তাঁরা ইন্ডাস্ট্রির দ্বার রক্ষক নয়তো তথাকথিত রক্ষকদের পদলেহন করেই টিকে রয়েছেন।
এর আগে রণবীর জানিয়েছিলেন, ভাট পরিবারের দুই স্তম্ভ মহেশ এবং বিক্রমের সঙ্গে বিবাদের পর থেকেই আপাতত তিনি একঘরে। দাবি করেছিলেন, কিছু স্বার্থলোভী ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের হাতে গোটা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
এ ছাড়াও বলিউডের ইনসাইডার-আউটসাইডার বিতর্ক সম্পর্কে অভিনেতা জানান, কয়েকটি পরিবার ও ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের হাতেই বলিউডের সাফল্যের যাবতীয় রহস্য লুকিয়ে আছে। তাঁরা ছাড়া বাকি একাধিক ছোট ছোট হাউস বা তাদের প্রযোজিত ছবির সঙ্গে অনেকটা বাবা মায়ের সৎ বা অবহেলিত সন্তানের মতোই ব্যবহার করা হয়। তিনি দাবি করেন যে এই ময়দানে প্রতিপক্ষ অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং লড়াইটা সম্পূর্ণ একপেশে হওয়ায়, নতুনদের বা বলিউডের পরিবারের বাইরের মানুষের সংগ্রামের সীমা থাকে না বলেই তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গে বলি-তারকা কঙ্গনা রানাওয়াতও এর আগে একাধিক বার এই জাতীয় অভিযোগের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। সেই সঙ্গে কঙ্গনা দাবি করেছেন, বলিউডের ৯৯ শতাংশ তারকাই মাদকাসক্ত।
গতকাল সংসদে জয়া বচ্চন তাঁর ভাষণে অভিযোগ করেন, এক শ্রেণির মানুষ বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিকে নর্দমার সঙ্গে তুলনা করছেন। কিন্তু কোনও ভাবেই তাদের কার্যকলাপের জন্য গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে দোষী বলা যায় না। ‘যে তলায় খাচ্ছেন সেই থালা ফুটো করার কথা ভাবছেন কী করে!”
ইতিমধ্যে এই বিতর্কে হেমা মালিনী, দিয়া মির্জা, তাপসী পান্নু রিচা চাড্ডা , সোনম কাপুর-সহ অনেকেই জয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে রিয়া চক্রবর্তী ধরা পড়ার পর একে একে যেভাবে বলিঊডের প্রথম সারির অভিনেতাদের নাম বের হয়ে আসছে তাতে বিতর্ক আরও বাড়বে বই কমবে না সেটা ভালই ঠাহর করা যাচ্ছে।