দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এইএমএসের (AIIMS) ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্ট হাতে পেল সিবিআই। কী পরিস্থিতিতে সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে তা যাচাই করতে এক্সাপার্ট ওপিনিয়ন জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এইএমসের চার সদস্যের এক বিশেষজ্ঞ টিম সুশান্তের ময়না তদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা এবং নতুন করে ভিসেরা রিপোর্ট তৈরির কাজও করেছে। অবশেষে সোমবার তারা তাদের সেই রিপোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে।
সূত্র মারফত যা খবর, সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এক্ষুনি’ই কোনো আলটপকা মন্তব্য করতে রাজি নন তাঁরা। এই ফরেনসিক রিপোর্ট, ভিসেরা তথ্য ও সেইসাথে এখনও পর্যন্ত নিজেদের তদন্তে উঠে আসা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে একটি চূড়ান্তে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তখনই বলা যাবে এই মামলা আদতে খুনের নাকি নিছক আত্মহত্যা!
উল্লেখ্য, এইএমসের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ টিমের নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থার ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডঃ সুধীর গুপ্তা। সোমবার নয়া দিল্লিতে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক হয় এইএমসের ফরেনসিক এক্সপার্টদের। জানা গিয়েছে গতকাল সকাল ১১টায় বৈঠকে বসেছিল তাঁরা। বঠক শেষ হয় সন্ধ্যে বেলায়।
সিআইবিআই গত ৭ সেপ্টেম্বর সুশান্তের ভিসেরা পরীক্ষা দ্বিতীয়বারের জন্য করতে দেয় এইএমসে। যার নেতৃত্বে ছিলেন সুধীর গুপ্তা। অভিনেতার শরীরে মৃত্যুর আগে এবং পড়ে কোনওরকম বিষ বা মাদক দ্রব্য ছিল কিনা তা স্পষ্ট হবে এই পরীক্ষার রিপোর্টএ। যদিও মুম্বাই পুলিশের দাবি এর আগে মুম্বইয়ে কালিনা ল্যাবে সুশান্তের দেহের অর্গ্যান গুলির ভিসেরা পরীক্ষা হয়েছিল। তাতে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা ছিল না। সেই ভিসেরা স্যাম্পেলের অবশিষ্ট ২০ শতাংশ দিয়েই পুনরায় রিপোর্ট তৈরি করেছেন এইএমসের বিশেষজ্ঞ টিম।
প্রসঙ্গত AIIMS এর এই দলের তিন সদস্য সুশান্তের মুম্বইয়ের কার্টার রোড অ্যাপার্টমেন্টেও গিয়েছিল। সেখান থেকেও তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছে বিস্তারিত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য। এই টিমই এর আগে শিনা বোরা, সুনন্দা পুষ্করের মতো দেশের হাই প্রোফাইল মৃত্যু রহস্যের মামলায় সিবিআইকে সাহায্য করেছেন। ডঃ সুধীর গুপ্তা ও তাঁর টিম সুশান্তের মামলাতেও নিজেদের মেডিকো-লিগ্যাল ওপিনিয়ন দিয়েছে।
এই মামলার তদন্ত প্রকৃতি নিয়ে ডঃ গুপ্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেন- একটা লজিক্যাল পরিসমাপ্তিতে পৌঁছানোর জন্য সুশান্ত মামলার কিছু লিগ্যাল বিষয় এখনও খতিয়ে দেখতে হবে। যদিও এই মামলায় এইএমস টিম এবং সিবিআইয়ের ধারণা এখনও পর্যন্ত আলাদা নয়। তিনি আশ্বাস দেন- ‘এই রিপোর্ট এক্কেবারে নিশ্চিত হবে’। অর্থাত্ এই রিপোর্ট স্পষ্টতই বলে দেবে এই মামলা সুইসাইড নাকি হোমিসাইড।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর ১০৪ দিন অতিক্রান্ত। ১৪ জুন মুম্বইয়ের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। তবে ‘জাস্টিট ফর সুশান্ত’ দলের আন্দোলন এখনও থামছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা এখনো দাবি করছে দ্রুত সিবিআই টিম কোনও সিদ্ধান্ত পৌঁছাক, আরও দ্রুত করা হোক তদন্তের গতি।