

রাধিকা ত্রিপাঠি, আইপিএস, বিহার Cadre, বয়স ৩১,অসাধারণ আকর্ষণীয় চেহারা ও ব্যক্তিত্ব, আপাতত বিহারে কর্মরত । মাত্র ২০ বছর বয়সেই বিয়ে হয়েছিল। মা না থাকায় সৎ মা ও ভাইদের আয়োজনে বিয়ে। বাবা ব্রাহ্মণ ও ব্যবসায়ী পরিবার ছাড়া আর কিছুই দেখেন নি। তাই মেধাবী কন্যার আরও পড়ার বা সিভিল সার্ভিস-এ আসার ইচ্ছে গুরুত্ব পায়নি। রাধিকার সৌন্দর্য দেখেছিলো পাত্রপক্ষ, কিন্তু তার বুদ্ধির ধার বা চারিত্রিক জেদ বা খেলাধুলার দক্ষতা সম্পর্কে তাঁরা ছিলেন পুরোই অন্ধকারে।
‘প্রথম রাত’ ঘিরে বন্ধু মহলে কত কী শুনেছিলো রাধিকা। কিন্তু ‘প্রথম রাত’ তার জীবনে কোনো উত্তেজনার আবেশ বা আনন্দের আলো ছড়ায়নি। বিয়ে হয়ে শ্বশুর বাড়িতে এসেই তাকে যেতে হয় পরিবারের গুরুজী-কে প্রণাম করতে। তাকে নিয়ে গেছিল অনেকে, কিন্তু ওই ঘরে একা রেখে চলে এসেছিলো। তার স্বামীর জন্য সুরক্ষিত সতীত্ব ধ্বস্ত হয়েছিল প্রথমে গুরুজী, পরে শ্বশুর তারপরে ভাসুর ও অন্তিমে স্বামীর দ্বারা।
মানসিক, শারীরিক ভাবে বিপর্যস্ত নববধূ রাধিকা শুনেছিলো, এটাই নাকি পারিবারিক প্রথা। রাধিকা যখন চোখের জলে তার যন্ত্রণার কথা বলতে শুরু করেছিল স্বামীকে, তখন সে অন্যদের তুলনায় তার পৌরুষ যে বেশি তাই প্রমাণ করতে ছিল ব্যস্ত । সকালে স্নান সেরে রাধিকা ঈশ্বরের কাছে মাত্র দুটি প্রার্থনা করে। সম্মান আর একজন প্রকৃত সাথী তার চাই-ই চাই। এক মাসেই সে বুঝে যায় ওপরে যতই ডিস্ট্রিবিউটরশিপ এর ব্যবসার কথা এঁরা বলুক না কেন,এদের আসলে ব্যবসা বেআইনি অস্ত্র ও নেশাবস্তুর…রাধিকা তলে তলে এদের বেআইনি কারবারগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে থাকে, আর এবার বোঝে কেন এদের এতো বন্দুকধারী সিকিউরিটি লাগে। রাধিকা ভাবতে থাকে পালাতে হবে, হবেই পালাতে, কারণ এভাবে সারা জীবন বিভিন্ন পুরুষের দাবি মেটানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। সে ব্যর্থ হয় স্বামীর অনুমতি পেতে, যে সে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করতে চায় বা সিভিল সার্ভিস করতে চায়।
অগত্যা সে তার প্রাক্তন ক্রাশ কলেজের রাজনৈতিক দাদার সাহায্য চায়, ভাগ্যিস ফোন ব্যবহারে কোনো বিধি নিষেধ ছিল না। ক্রমে প্ল্যান তৈরি হয়. আগে রাধিকার ভর্তির ও হস্টেলের ব্যবস্থা হয়। তবে স্পষ্টবাদী রাধিকা জানিয়ে দেয় সেই প্রাক্তন ক্রাশ-কে, সে শুধু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সাহায্য টুকুই চায়, কোনো হিন্দি সিনেমা টাইপ ভায়োলেন্স নয়। আগে সে নিজেকে প্রস্তুত করবে, তারপর সময় এলে সে নিজেই নেবে বদলা। সে বোঝে তার একমাত্র তুরুপের তাস তার রূপ যৌবন, কিন্তু শরীরের দখলদারি আর সে কাউকেই দেবে না। অনেক ব্যবহৃত হয়েছে সে পুরুষ দ্বারা,এবার প্রয়োজনে সে ব্যবহার করবে পুরুষ-কে, নিজের হাতেই রাখবে কন্ট্রোল।
তার পড়াশুনোর খরচ সে নিজেই বহন করবে, শুধু বিক্রম দেখবে তার কেরিয়ার তৈরির পথে কেউ, মানে কেউ-ই, যেন বাধা সৃষ্টি না করে। ব্যবস্থা হয় সব। বিহারের যুবসমাজ আজ হতে চায় হয় রাজনৈতিক নেতা, নয় মাফিয়া ডন, নয় IAS/ IPS । তাই বিক্রম সহজেই তার প্রাক্তন প্রেমিকার জন্য পুরো ব্যবস্থা করে ফেলে, আর রাধিকা দিওয়ালির কেনাকাটার নাম করে বেরিয়ে আর ফেরে না। বাড়িতে পাওয়া যায় দিল্লির ফ্লাইটের ই-বোর্ডিং পাস,ইচ্ছে করেই কম্পিউটার থেকে সব ডিলিট করে এটি রেখে দিয়েছিলো রাধিকা ওর স্বামী-কে বিভ্রান্ত করতে। ওঁরা যখন এয়ার পোর্টে খোঁজ খবর করছেন, রাধিকা তখন হোস্টেল রুমে। আর সেই রাতেই রাধিকার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিক্রম উপর মহল থেকে রাধিকার শ্বশুর বাড়ির দু- দুটো গোডাউনে পুলিশ রেইড করে।
শুধু তাই নয়, করে সম্পূর্ণ মিডিয়া কভারেজের ব্যবস্থাও। ফলে বৌ পালানোর চেয়েও ব্যবসার ক্ষতি, সামাজিক অপযশ তখন বেশ কিছুদিন তাঁদের ব্যস্ত রাখে। রোজ রোজ পুলিশের ইনকোয়ারি, মিডিয়ার গরমাগরম ব্রেকিং নিউজ তাঁদের আর রাধিকার ব্যাপার নিয়ে এগোতে যেন দ্বিধাগ্রস্ত করে। অন্যদিকে রাধিকা কলেজে ক্যাম্পাসে-ই থেকে যায়, প্রয়োজনীয় জিনিস এনে দেয় অন্যরা। ফলে ঘরের বৌ কর্পূরের মতো উবে গেলেও তাঁরা কিল খেয়ে কিল হজম করা-ই শ্রেয় মনে করে।
দু বছরের কঠিন শ্রমে রাধিকা খুব ভালো রেজাল্ট সহ এম.এ.পাশ করে ও সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। এবার রাধিকা দিল্লি যেতে মনস্ক হয় এবং এ নিয়ে অনিবার্য হয় বিক্রম রাধিকার দ্বন্দ্ব। বিক্রম তার জন্য করেছে অনেক, কিন্তু রাধিকার ছিল নিজস্ব প্ল্যান, তাই সে যেমন ইচ্ছে করেই তার মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগ মাস্টার্স-এ করে নি, কারণ সে চায়নি কোনো মিডিয়ার মনোযোগ, আত্মগোপন পর্ব চলছিল তার, কিন্তু এবার কিছুটা হলেও সে ফিরে পেয়েছিলো আত্মবিশ্বাস, তাই সে দিল্লি যেতে চায়। তবু সে বোঝে যাওয়ার পথ সুগম হবে না, অগত্যা সে বিহার থেকেই পরীক্ষা দিতে উদ্যোগ নেয়।
বিক্রম তাকে ভালোবাসে, রাধিকা বোঝে, কিন্তু নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর আগে তার জীবনে আর কোনো কিছুকেই সে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তবু বিক্রমের জোরাজুরিতে মাঝেমধ্যে সে প্রেমের ভান করে আর দু বছর পেরিয়ে মাস্টার্স এর রেজাল্ট উদযাপনে সে ধরা দেয়। কিন্তু পরিণত রাধিকা আর আগের মতো পুরুষের ভোগের সামগ্রী হয় না, বরং তার সেক্স লাইফের কন্ট্রোল-ও সে নিজের হাতে রাখে। বিক্রমের পৌরুষ তাতে কতটা ধাক্কা খেলো,তা নিয়ে ভাববার সময় বা ইচ্ছে, আজ আর কোনোটাই নেই রাধিকার। সে নিজেই বোঝে সে কতটা বদলে গেছে, তার শরীর মন আর আবেগে ভাসে না, স্ট্রাটেজি তে চালিত হয়।
প্রথমবারেই রাধিকা প্রিলিমিনারী ও মেন ক্র্যাক করে, তবু আরও উপরে স্থান পেতে সে আরও একবার পরীক্ষা দিয়ে ইউপিএসসি তে প্রথম হয়ে সব্বাইকে অবাক করে দেয় । IAS হওয়ার সুযোগ থাকলেও সে নির্বাচন করে IPS । শুরু হয়ে যায় ট্রেনিং, তার আগেই সে ডিভোর্সের আপীল করে। নোটিশ পায় তার স্বামী, আগেই মিডিয়ার দৌলতে তার অসাধারণ রেজাল্ট সে জেনেছিলো আর বুঝে গেছিলো, আর কিছু হওয়ার নয়। তবু সে একবার শেষ সৌজন্য সাক্ষাতের চেষ্টা করলেও, রাধিকা জানিয়ে দিয়েছিলো, সে অতীত ভুলে গেছে, মিউচুয়াল ডিভোর্সটা না পেলে তাকে অতীত খুঁড়তে হবে, যা সুবিধের হবে না।
রাধিকার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি বুঝে যায়, এ মেয়ে আর ঘুঙ্গট দেওয়া নরম নববধূ-টি নেই । তাই ঈপ্সিত ডাইভোর্স পেয়ে আর বিক্রমের সঙ্গে স্বেচ্ছায় দূরত্ব তৈরি করে রাধিকা শুরু করে তার বহু আকাঙ্খিত ট্রেনিং। সফল ট্রেনিং শেষে সে জয়েন করে বিহার পুলিশে, ACP ক্রাইম হয়ে । তার কর্তব্যে অবিচল মনোভঙ্গি অনেকের কাছে অসুবিধাজনক মনে হলেও, তার ঠিক ওপরের বস ছিলেন এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট। বিপত্নীক বছর ৪০ এর রাঠোর স্যার কিন্তু রাধিকার কাজের গতিভঙ্গিতে খুশি-ই ছিলেন । অবাক হয়নি রাধিকা, কিছু ফোন কল পেয়ে, যাঁরা পুরোনো ক্ষত নিরাময়ে ছিলেন ব্যাকুল।
ব্যাপারী থেকে বাহুবলী সবাই চায় রাধিকার প্রসন্নতা। আর রাধিকার লাল ডায়েরি জানতো তার গোপন ইচ্ছেগুলোর কথা । ক্রাইম রেট কমাতে বদ্ধপরিকর ছিল রাধিকা। নিজস্ব নেটওয়ার্ক ছিল তার. হঠাৎ হঠাৎ রেইড করতো স্বঘোষিত গুরুদের আশ্রমে, নারী কল্যাণ ও বিধবা কল্যাণ কেন্দ্রগুলো-তে। এমনি এক রেইড-এ রাতের অন্ধকারে সে এক আশ্রমে সদলবলে পৌঁছে দেখে মহাগুরুর কীর্তি। সঙ্গে সেদিন রাঠোর স্যার-ও ছিলেন, কারণ গুরু সকলের সাথেই যোগাযোগ রাখতেন। রাধিকার যেন চেনা লাগে গুরুকে। আশ্রমের সেবক ও সেবিকাদের আলাদা আলাদা ঘরে ঢুকিয়ে রাঠোর-কে কিছু বলেন রাধিকা। রাঠোর মহাগুরুকে বলেন উপরের নির্দেশে এবার ছেড়ে দিচ্ছি, পালান। বাইরে পুলিশ ঘিরে রেখেছে, আর কোনো পথ আছে?
গুরু চোরকুঠুরি দিয়ে বেরুতে গেলেই, রাধিকা প্রথমে পায়ে গুলি করে। পড়ে গিয়ে গুরু গালি দিয়ে ওঠেন আর এবার রাধিকার গুলি সোজাসুজি লাগে তাঁর পিঠে ও মাথায় । জোর করে তার ইজ্জত নেওয়া ভণ্ড গুরুজী-কে নিজের হাতে মারতে পেরে এক অদ্ভুত প্রশান্তি আসে মনে । পরদিন রাঠোর স্যার জানতে চাইলে সে বলে শ্বশুরবাড়ি-তে পা দিয়েই কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সে অর্জন করেছিল… সামনে নির্বাচন, অগত্যা রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের থেকেও নির্দেশ আসে, ভায়লেন্স কমাতে হবে, স্বচ্ছ করতে হবে শাসক দল ও সরকারের ভাবমূর্তি। রাধিকা ভাবে এখানে তো মোবাইলের মতোই হাতে হাতে অস্ত্র, মারতেও বন্দুক, আত্মরক্ষাতেও বন্দুক, রাধিকা ও রাঠোর কাজের নীল নকশা নিয়ে বসে যান।
কালোবাজারি, মজুতদারি, বেআইনি অস্ত্রের ভান্ডার, নারী শোষণ সবই কঠিন হাতে মোকাবিলা করতেই হবে। রাধিকা ঠিক করে নেয় এই সাফাই অভিযানে সে সাফ করবে তার ব্যক্তিগত অপমানের ময়লা-ও। রাতভ’র চলতে থাকে পুলিশি রেইড, আর সাফ হতে থাকে জঙ্গল রাজ। এমনি এক রেইড-এ রাধিকার মোলাকাত হয় এতগুলো বছর পর তার শ্বশুর ও ভাসুর এর সঙ্গে । রাধিকা তাঁদের মুখে বেটি শুনে ও ক্ষমা চাওয়া শুনে গুদাম সীল করে তাঁদের পালাতে বলেন, আর পালানোকালীন হয় এনকাউন্টার। রাধিকা গাড়িতে উঠে ভাবে, অবশেষে সে পারলো তবে। এভাবেই রাধিকা ও রাঠোর যুগলবন্দী স্টেট-কে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দিয়ে নজির গড়েন । পান মেডেল-ও । সে রাতে রাধিকা স্বল্প নেশায় ছিল আচ্ছন্ন । হঠাৎ বাইরে চিৎকার শুনে সে ব্যালকনিতে গিয়ে দেখে বিক্রম এসেছে, তার সিকিউরিটি ঢুকতে না দেওয়ায় বচসা।
রাধিকার মনে হয় দেখাই যাক কী বলতে এতো রাতে বিক্রমের আগমন। সে দেখা করে, আর শোনে স্বচ্ছতার বাতাবরণে তার ও তার মতো অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছে । তাই সে পুরোনো সম্পর্ক এর কথা তুলে রাধিকার কাছে একটা ছোটোখাটো হলেও সরকারি চাকরি চায় । রাধিকার মনে পড়ে বিক্রম তার জন্য অনেক কিছু করেছিলো, তার এই অবদি আসার পিছনে বিক্রমের-ও অবদান আছে । কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই তার মনে পড়ে বিক্রম কাজের জন্য শেষ পর্যন্ত তার শরীর ভোগ করেছিল তো। তাই রাধিকা বলে,কাজ একটা দিতে পারে সে, রাধিকা ডাকলে তাকে আসতে হবে, রাধিকার শর্তে রাধিকা-কে খুশি করতে। টেবিলে এ পা তুলে সামনে দাঁড়ানো বিক্রম-কে যখন এই প্রস্তাব সে দেয়, দেখার মতো মুখচ্ছবি হয়েছিল বিক্রমের। যে গালিটা দিয়ে বেরিয়ে যায় বিক্রম, শোনে পিছন থেকে রাধিকা বলছে, ম্যায় নেহী, তুম খুদ বহি হো…
এক ভোর রাতে রাধিকা-কে নামাতে আসেন রাঠোর সাব। রাধিকা ভদ্রতাতেই বলে, এক কাপ চা খেয়ে যেতে । রাজি হন রাঠোর-জী কিন্তু ভিতরে এসে রাধিকার ক্লান্ত মুখ দেখে তিনি বলেন,
-আপ ফ্রেশ হো কর আও, মেইন বাড়িয়া চায় বানা সাকতা, জাস্ট গিভ মি আ চান্স টু প্রুভ।
সারারাত ডিউটি’র পর ওয়াশরুম যাওয়াটা তখন সত্যি ই দরকার ছিল। রাধিকা ওয়াশরুমে এ আর রাঠোর কিচেন এ গেলেন… ফ্রেশ হয়ে রাধিকা এলে দুজনে চা খেলেন একত্রে। রাধিকা অবাক, সত্যি তো রাঠর জি দারুণ চা বানান…
-Its excellent, sir. I am really moved and honored… If you want I can honor you each and every day by offering you a cup of bed tea। রাধিকা যেন নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারে না । বিস্ময়ে হতবাক রাধিকা বলে, say again sir, I missed that … এগিয়ে আসেন রাঠোর সাব, আলতো করে রাধিকার মুখে পড়া চুল সরিয়ে বলেন, can we face our future jointly ? …
-I promise to give you bed-tea every day when at home, and give you love and respect throughout my life, and I forgot to tell you another thing, I want a baby Radhika from you. বিস্মিত বাকরুদ্ধ অশ্রুসিক্ত রাধিকা-কে কোলে তুলে রাঠোর নিয়ে যান ব্যালকনি-তে, এক নতুন সূর্যোদয় দেখতে…
পুনশ্চ: সব চরিত্র ও ঘটনা কাল্পনিক