পড়ন্ত বিকেলের লাল আভাটা যেন বিদছে বুকের পাঁজরে। নির্বাসনের প্রকৃত অর্থ আজ স্বার্থক।আজ বিকালে একটু তাড়াতাড়িই ঘুমটা ভেঙে গেছে তাই এই নিভন্ত আলো তার চোখে পড়েছে। তুতুনের চোখের সামনে ভেসে ওঠে কয়েক বছর আগের রঙিন বিকাল গুলোর কথা। শুধু এই বিকাল বেলার আকাশের নানা রঙের খেলা দেখবে বলেই না কতজনের কাছে মিথ্যে বলতে হয়েছে। টিউশন স্যার এর সাথে চুক্তি করে পড়তে যাওয়া । পড়ার ফাঁকে ফাঁকে তাকে যেন বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়,নইলে সে বিকালে পড়তে যাবে না।
প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার সে এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। সে গিয়ে বসে থাকতো জংলা নদীটির তীরে। ভাবত এত রং প্রকৃতি কোথা থেকে পায়! সে সাথে কেউ থাকুক বা না থাকুক। ঘন্টার পর ঘন্টা সেই সৌর্ন্দয উপভোগ করত। কতই না ছবি তুলে রাখতো মনের ক্যামেরায়। আর আজ সে ভেবে অবাক হয়ে যায় এই বিকাল,এই প্রকৃতির রং,এই সুন্দর রূপ থেকে নিজেকে আড়াল করতে সে ঘুমিয়ে পড়ে। জেগে থাকলেও জানালার ফাঁকফোকর পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখে। এ কেমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া তার ! আজ নিজেকেও অজানা লাগে নিজের কাছে। তুতুনের কষ্ট টাই বেশি হয়। কিছু করার নেই আর ! এই রূপ তার কাছে নিছকই প্রতারক,ভাবের প্রতারণা করে। আরও বেশি একাকিকত্ব গ্রাস করে । আজ আর আর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। মিথ্যে অজুহাত কেউ চায়না…