“এখনো অঙ্কুর যাহা তারই পথপানে
প্রত্যহ প্রভাতে রবি আশীর্বাদ আনে।”
জ্বলদর্চি রেখায় শেষ হচ্ছে আরও একটি দিন। ভাইরাস-স্নাত রবি অস্তাচলে। পরিশ্রান্ত পাখির আওয়াজ খুঁজেফেরে নিজের ঠিকানা। আঁকাবাঁকা জরা-জীর্ণ পথে আরও একটা বাইশে শ্রাবণ নিভে গেল; নিভে গেল আমার জীবন থেকেও। এক বিপন্ন বিস্ময় আচ্ছন্ন করছে ক্রমাগত। সভ্যতার আশা এখন খুঁজে বেড়াচ্ছে নষ্টাদ্রামুসকে। কারণ প্রকৃতি আজ গেঁথে আছে বিষমাখা তীরে।
তবুও, হ্যাঁ তবুও এই অফসলি সময়ে প্রাণের ঠাকুর তোমাকেই বড় প্রয়োজন। আমার মতই বাঙালি হৃদয় আজও তোমার মন্ত্রণায় জেগে উঠতে চায়। অগণিত অসময়ের ভিড় যখন মাথার মধ্যে অশনির লসাগু করতে থাকে তখনই রবিধারাকে ধরতে যাই নীরবে। ওইতো ভাষে টুকরো বাতাসে তোমার গান। ওইতো আমার অন্তরতম কথাকলিতে তোমার নন্দিনী । ওইতো আমার দিনলিপির জলছবিতে চেনা শিলাই সাজাদপুরের গল্পেরা। ওইতো মেঘমল্লারে অসীমের আবাহন। ওইতো তোমার কবিতার ঢেউ আরো গভীরে যায়। ওইতো তোমার গীতবিতানের পাতা এই নষ্ট সময়ের আশ্রয়৷ আমি ছুঁয়ে ফেলতে চাই তোমাকে। কিন্তু পারি না! সমাজের এই তীব্র অসুখে মানবতার বিজয় আশ্রয় কেবলি রবি ঠাকুর ‘তুমি’!! ‘ভয়ের মুখোশ’ ছেড়ে ‘অনর্থ পরাজয়’ কে হারিয়ে ভরসার নোঙর-তো তুমিই!!!