কতভাবে দেখেছি তোমারে
তবু যেন অতৃপ্ত তৃষায়
তোমার ও রূপ সুধা পানে
বারে বারে মন ছুটে যায়।
বাংলার নদী মাঠ ঘাট
এ যেন বুকের কলিজা
আম জাম অশ্বত্থের বন
পেতেছে সবুজ গালিচা।
সবুজে হলুদে মাখামাখি
শিশির সিক্ত সরিষা।
ফসলের সুঘ্রাণে ভরা
এ মাটি কৃষক ভরসা।
মন মজে দোয়েলের শিসে
কি বাহার কলাপ ডানায়
আকাশেতে বলাকার সারি
প্রতিদিনই রূপ বদলায়।
অরুণ আলোর নব সাজ
দেখি তো সোনার বাংলায়
কি বাহারে সেজে উঠে প্রাতে
নব কলেবরে ধরা দেয়।
মাছ রাঙা ডাহুকের মুখে
ঘুম জাগা ভোরাইয়ের গান
শালিখ চড়ুই টিয়া মিলে
সমবেত সুর কলতান।
টালি চালে কাকেদের মেলা
সাথে ঘুঘু ফিঙা’দের ভীড়
সোনা ঝরা পৌষের রোদে
সেঁকে নেয় শীতল শরীর।
উত্তরে ধুম্র পাহাড়
দক্ষিণে ফেনিল সলিল
পশ্চিমে মাতাল মহুয়া
দখিণা আকাশে গাঙ চিল।
অতন্দ্র প্রহরী সেজে আছে
ধ্যানমৌনি ধুম্র পাহাড়
হিম কণা জমে আছে যেন
কণ্ঠ শোভিত মুক্তা হার।
পাহাড়ের স্নেহ কণা ঝরে
সমতলে রূপোলী রেখায়
কি সুর ছন্দে দোলা দিয়ে
সাগরের পথ খুঁজে নেয়।
সুজলা সুফলা এই ভুমি
প্রণমি তোমারে হে মাতা
তোমার তুলনা তুমি নিজে
বিশ্বে ছড়াক জয় গাথা।