দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: উৎসবের মরশুমে ঋণগ্রহীতাদের জন্য স্বস্তির খবর। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গভীর রাতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ছ’মাসের মোরেটোরিয়াম সময়সীমার সময় দু’কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে চক্রবৃদ্ধি হারে যে সুদ ধার্য করা হয়েছিল, তা মকুব করা হচ্ছে। এই ঘোষণার ফলে বাড়ি, শিক্ষা, অটোমোবাইল, ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্পের জন্য ঋণগ্রহীতা এবং যাদের ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া আছে, তাঁরা বিশেষ সুবিধা পাবেন।
অর্থ মন্ত্রকের নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে যে, ‘অভূতপূর্ব এবং চূড়ান্ত কোভিড-১৯ পরিস্থিতির’ পরিপ্রেক্ষিতে ‘ছ’মাসের জন্য সাধারণ ও চক্রবৃদ্ধি সুদের পার্থক্যের ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্যের প্রকল্পে’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই চলতি বছরের ১ লা মার্চ থেকে ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত নির্দিষ্ট ঋণগ্রহীতারা সেই সুবিধা পাবেন।
অর্থ মন্ত্রকের এক গোপন সুত্র মারফত খবর, সুপ্রিম কোর্টের কাছে কেন্দ্র যে হলফনামা জমা দিয়েছিলো, সেই মোতাবেক এই ঘোষণা করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যোগ্য ঋণগ্রহীতাদের সুবিধা প্রদান করা হবে এবং তাঁদের ক্যাশব্যাক দেওয়া হবে।’
তিনি জানিয়েছেন, যাঁরা মোরেটোরিয়াম সুবিধা নেননি, তাঁরাও ঋণ মকুবের সুবিধা পাবেন। তবে তাঁদের ঋণের পরিমাণ দু’কোটি টাকার কম হবে। সেক্ষেত্রে তাঁদের আর্থিক সাহায্য বা ক্যাশব্যাক দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাঁদের ঋণের পরিমাণ দু’কোটি টাকার কম (ঋণদাতা সংস্থার ক্ষেত্রে সব সুবিধা মিলিয়ে), তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তবে সেই সময়ের পর্যন্ত ঋণগ্রহীতার অ্যাকাউন্ট অনুৎপাদক সম্পদে (এনপিএ) হতে পারবে না। পাশাপাশি যাঁদের ঋণের পরিমাণ দু’কোটি টাকার বেশি হবে, তাঁরা আর্থিক সাহায্যের সুযোগ পাবেন না বলে জানানো হয়েছে।
ওই গোপন সূত্রে এও জানা গিয়েছে যে, যোগ্য ঋণগ্রহীতাদের টাকা প্রদান (ক্যাশ ব্যাক) দেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। তারপর কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে তারা সেই টাকা ফেরত নেবে। এই খাতে প্রায় ৬,৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে।