দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-র অভ্যন্তরীণ প্যানেলের সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে দেশের বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে ব্যাঙ্কিং ব্যবসার লাইসেন্স প্রদান করা হোক। এছাড়াও সুপারিশ করা হয়েছে যে প্রাইভেট সেক্টর ব্যাঙ্কের প্রোমোটারের অংশিদারীর সর্বোচ্চ সীমা ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৬ শতাংশ করার। আর তা করতে হলে ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট-এ সংশোধন আনতে হবে।
আরবিআই এর এই আভ্যন্তরীণ প্যানেলের সুপারিশ মেনে এই বদল ঘটলে টাটা, বিড়লা, অম্বানী কিংবা মহিন্দ্রার মতো বড় কর্পোরেট পুঁজির সংস্থা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ঢুকতে পারবেন। ইতিমধ্যেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি, আদিত্য বিড়লা নুভো, টেক মহিন্দ্রা, টাটা সন্স, সান ফার্মা এর আগেই ব্যাঙ্ক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ লাইসেন্স পেয়েছে আবার কেউ দ্বিতীয়বার ভাবনা-চিন্তা করে সরে এসেছিল। আর এর মূল কারণ ছিল, প্রাইভেট সেক্টর ব্যাঙ্কের প্রোমোটারের অংশিদারীর সর্বোচ্চ সীমা না বাড়ানো। আরবিআই এর ওই প্যানেল মনে করছে, ওই সীমা বাড়ানো হলে দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলো ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আসতে উত্সাহ পাবে।
যদিও অতীতে ব্যাঙ্কিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি ছিল না। ৭ বছর আগে আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক এবং বাংলার উদ্যোগপতী চন্দ্রশেখর ঘোষের বন্ধন ব্যাঙ্ককে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এরও আগে আরবিআই কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক এবং ইয়েস ব্যাঙ্ককে লাইসেন্স দিয়েছিলো।
তবে ঐসব ক্ষেত্রে নিয়মকানুনে ছাড় দিয়ে স্বল্প পুঁজির সংস্থাকে ব্যাঙ্কিং ব্যবসায় আনা এবং দেশের যে জনসমাজ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বাইরে রয়েছেন, তাঁদের টেনে আনার জন্যও কিছু শর্ত স্বাপেক্ষে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। তবে এবারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই প্যানেলের নতুন সুপারিশ অনুযায়ী ১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্টের সংস্কার হলে পরেই কর্পোরেট সংস্থাগুলোও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আসতে পারে।