দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: লাদাখ সীমান্তে বিরোধিতা এই মূহুর্তে দু’টি দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে, তখনই ঘটে গেল এক যুগান্তকারী ঘটনা। শি জিনপিং সরকারের ‘চাল’ সিদ্ধান্তে চমকে গিয়েছে ভারতের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও। আর এই ‘চাল’ কী চীনের কোনও নতুন চাল? তা নিয়ে কূটনীতিবিদদের একাংশ যথেষ্ট চিন্তাতে পড়ে গিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে একটি আমদানি সংক্রান্ত বাণিজ্য ঘিরে! সম্প্রতি ভারত থেকে চাল কেনার জন্য দাম এবং চাল সরবরাহের ওপর একটি বড় মাপের ছাড়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাজারে। আর সেই প্রস্তাবে সারা দিয়ে কয়েকটি ভারতীয় শিল্প আধিকারিককে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে এক লক্ষ টন চাল রফতানি করার জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে চীনের তরফ থেকে। আর এই বরাত আসতেই দীর্ঘ তিন দশক পর এই প্রথম বার চীন ভারত থেকে চাল কিনতে চলেছে।


সরকারি সূত্রে খবর, ভারতীয় শিল্প কর্মকর্তারা টন প্রতি ৩০০ ডলার (প্রায় ২২, ১২৫ টাকা ) দরে চীনকে ভাঙ্গা চাল রফতানি করবে। ‘রাইস এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন’ -এর সভাপতি বিভি কৃষ্ণ রাও বুধবার জানান, ”এই প্রথম বার চীন আমাদের থেকে চাল কিনতে চলেছে। আশা করছি পরের বছরেও চীন আমাদের থেকেই চাল আমদানি করবে।”
উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই ভারত বিশ্বের সব থেকে বড় চাল রফতানিকারক দেশ হিসেবে বিদেশে পরিচিত। অপর দিকে চীনও চাল আমদানিতে বিশ্বে প্রথম। প্রতিবছর বেজিং অন্যান্য দেশ গুলি থেকে চাহিদা মেটাতে প্রায় ৪০ লক্ষ টন চাল আমদানি করে। কিন্তু ভারত থেকে কখনই চাল কেনেনি। তারা বরাবরই এর কারণ হিসেবে ভারতীয় চালের গুনমানকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করেছে।
চীন জানিয়েছিল যে, তাইল্যান্ড, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান থেকে কম দামে ভাল মানের চাল পাওয়া যায়। কিন্তু করোনা আবহে ওই দেশগুলিতে চালের উত্পাদন ও রপ্তানির পরিমাণে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় চালের দাম আগের তুলনায় অনেক (প্রায় টন প্রতি ৩০ ডলার) বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই চীন ভারত থেকে চাল আমদানি করার এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।