দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আমাদের দেশ কে যে ‘সোনার দেশ’ বলা হয় তার অনেক কারণের মধ্যে একটি এই যে এই স্বর্ণধাতুর উৎপাদন ও তাকে গয়নারূপে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া সারা দুনিয়ায় এত ভালো ভাবে হত না। কিন্তু সর্বব্যাপী ভারতীয় মূল্য পরে যেতে থাকায় দেশবাসীর কাছে সোনা ক্রমশ দুর্মূল্য হতে থাকে। তবুও আমরা কোনো না কোনো সামাজিক বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য সোনা সঞ্চয় করে থাকি। সন্তানকে আশীর্বাদ করার সঙ্গে সঙ্গে সোনাকে আমরা আর্থিক সঞ্চয় রূপেও দেখি। সোনা আমাদের কাছে পুঁজিও বটে। এই সোনার আকাশছোঁয়া দাম চিন্তায় ফেলেছিল মধ্যবিত্তের। কোভিড পরিস্থির প্যাঁচে সোনা যেন আকাশকুসুম হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু বছরের শেষের দিকে সোনার দাম আগের তুলনায় কমলেও তা এখনো সাধারণের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু স্বর্ণব্যবসায়ী সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে আগামী বছরে সোনার দাম হ্রাসের সম্ভাবনা আছে ক্ষীন কিন্তু কোনোভাবেই দাম আর বাড়বে না। কিন্তু কেন কোভিডকালে দাম বেড়েছিল সেই ব্যাখ্যায় উঠে এসেছে ২০২১ এ কেমন থাকবে সোনার দাম।
আরো পড়ুনঃ ‘লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন’-এই প্রবাদ এখন অচল, দেশীয় ব্যবসায় বিপুল বিনিয়োগে রাজি ফেসবুক!
করোনাকালে সোনা-গয়না ব্যবসা বন্ধ থাকলেও। এই ধাতুর মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ ছিল না। বিশ্ববাজারকে চাঙ্গা করার জন্য মার্কিন সরকার বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে। আর অনিশ্চিত সময়কালের কথা ভেবে অর্থলগ্নিকারীরা সোনার উপর বাজি বসিয়ে বিনিয়োগ করে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ২,০৭২.৪৯৫১ মার্কিন ডলারে পৌঁছে যায়। যা নাকি সর্বকালীন রেকর্ড ছিল। বিশ্ববাজারে যখন এই অবস্থা তখন দেশের মধ্যে ১০ গ্রাম সোনার দাম পেরিয়ে যায় ৫৭ হাজার টাকা। অবশ্য ভারতীয় মুদ্রার পতনও এর জন্য দায়ী।
অ্যাক্সিস সিকিউরিটিস নামের এক সংস্থা জানাচ্ছে যে, ২০২১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ লগ্নির দিন হয়তো আবার ফিরবে। আর শেয়ারবাজারের শেষ মাসের যে স্থিতি তাতে লগ্নিকারীরা এখন তাকিয়ে কোভিড ভ্যাক্সিনের দিকে। কোভিড উত্তরকালে সোনার দাম আগের মতো না বাড়লেও, অর্থনীতি চাঙ্গা হলে তা হয়তো আমআদমির সাধ্যের মধ্যে আসতে পারে।