দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের পর হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল গত বৃহস্পতিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সেখানে হাওড়ার বিভিন্ন সমস্যা থেকে কার্যকলাপ প্রসঙ্গে আলোচনার সময়, রাজ্যের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তার মাথায় একটি ভাবনা আসে। তিনি বাংলা জুড়ে শরতের আগমনী বার্তা বয়ে আনা কাশফুলকে ব্যাবহার করে নতুন কর্মসংস্থানের দিশা দেখলেন।


এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি আগামীতে হাওড়ায় বিশাল বিনিয়োগের বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, ‘হাওড়ায় একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হবে। আগামী দুই বছরে সম্ভাব্য বিনিয়োগ আসতে চলেছে ১০ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হবে ১ লাখ ১৬ হাজার মানুষের। ‘ তিনি হাওড়ায় বিনিয়োগের বার্তা দিয়ে ইঙ্গিত দেন হাওড়ায় শিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ফলে, বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থান হতে চলেছে আগামীতে।
এর পরই তার মাথায় অভিনব এক ভাবনা আসে। তিনি বলেন, “আমার একটা আইডিয়া আছে। এইযে কাশফুল হয় বাংলায়, পূজোর একমাস আগে থেকে শুরু হয়, আর থাকে একমাস। তারপর উড়ে চলে যায়। কোনো কাজে লাগে না। এইটা দিয়ে বালিশ এবং বালাপোষ তৈরি হতে পারে দারুন ভালো। টেকনিক্যালি ও কেমিক্যালি কিকরে কি করতে হবে তা এক্সপার্টরা ভালো বলতে পারবেন। এটা তো মনেহয় অনেক দামে বিক্রি হবে। যাদের ক্ষমতা আছে তারা কিনতে পারবে। সুতরাং এটা কিভাবে কাজে লাগানো যায় দেখো।”


আসলে এই কাশফুল শরতের শুরুতেই বাংলা জুড়ে ফুটতে শুরু করে। আর শীতের প্রারম্ভে ঝোরে পড়ে। তেমন কোনো কাজেই লাগেনা এই অত্যান্ত নরম ফুলগুলি। তবে এই ফুল কোনো যত্ন ছাড়াই পুরো বাংলা জুড়েই বর্ষার শেষে জমে থাকা জলা জায়গা, নদী, খাল বিল ডোবা মাঠের আনাচেকানাচে এমন কি শহরেও, পুরানো পরিত্যক্ত বাড়িতে ,গলি ,পার্কে নিজের মতোই জন্মায়।


তাই সত্যিই যদি মাটির কাছাকাছি এই মানুষটির ভাবনা সফল হয় তাহলে সত্যি এটি একটি অভাবনীয় পদক্ষেপ হবে। যা নতুন কর্ম সংস্থানের দিগন্ত হয়ে উঠতে পারে। তবে ইতিমধ্যেই কিছু টেকনিশীয়ান এক্সপার্টদের বক্তব্য জানা গিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর ধারণা সফল হতে পারে। কাশফুল ব্যাবহার করে বালিশ তোষক তৈরি করা যেতে পারে। তুলোর বিকল্প হিসাবে ব্যাবহার করা যেতে পারে। এমনকি কাশফুল থেকে মিথেন গ্যাসও তৈরি করা যেতে পারে।
লেখা – তানিয়া তুস সাবা।