দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ভোটের আগেই বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প শুরু হয়েছে বহুদিন আগেই। সেই প্রকল্পকে এবার সর্বজনীন করার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। আজ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান,এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কে সার্বজনীন করা হলো। এতদিন রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য ছিল রাজ্য সরকারের। আজ এই প্রকল্পের আওতায় আরও আড়াই কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। যারা অন্য কোন রকম স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ পান না তারা এই বীমার আওতায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবীমা পেতে পারেন।
এটি পুরো পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বীমা প্রতি সদস্যের মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকা নয়। তবে একথা ঠিক যে একজন ব্যক্তির অসুস্থ তাকে কেন্দ্র করে এই সমস্ত টাকা খরচ করা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী দিনেও জানান সবটাই হবে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও দেড় হাজার বেসরকারি হাসপাতালকে এই বীমার আওতায় আনা হবে।
এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সকলেই। মুখ্যমন্ত্রী জানান এতদিন পর্যন্ত বহু মানুষ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এবার অন্যরাও এই সুবিধা নিতে পারবেন। তিনি বলেন,”এই ধরুন আমার রিকশাওয়ালারা, আমার টোটো ওয়ালারা,আমার ইটভাটার কর্মীরা, আমার ড্রাইভাররা…সকলেই পাবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী এও জানান সকলের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেবার জন্য ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইনিং করবে সরকার। যা শুরু হচ্ছে ১ ডিসেম্বর থেকে। মুখ্যমন্ত্রী আজ এই অভিযানের নাম দেন,”দুয়ারে দুয়ারে সরকার”।মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ এও বলেন যে,অন্য রাজ্য তো চাইলে এই প্রকল্প দৃষ্টান্ত রূপে অবলম্বন করতে পারে। বিশ্বের ইতিহাসে এই ধরনের প্রকল্প একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি জানান এর জন্য আরো ২০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করবে রাজ্য সরকার।
যদিও এই প্রকল্প নিয়ে খুশি হতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয় বর্গী জানান,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মিথ্যাচারের এভারেস্টে পৌঁছে গিয়েছে। বাস্তব হল কেন্দ্র সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় সার্বজনীন স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা দু বছর আগে শুরু হয়েছে। স্রেফ রাজনীতি করতে গিয়ে এই প্রকল্প বাংলায় চালু হতে দেননি মমতাজি।তাতে বাংলার মানুষ এতদিন বঞ্চিত হয়েছেন। উনি এতদিন দাবি করতেন রাজ্যে নাকি সবাই স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা পায়। সেই দাবি ছিল ঝুটা। এখন ভোটের আগে ঠেলায় পড়ে এই প্রকল্প চালু করছে।”