দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ দিল্লী-হরিয়ানা সীমান্তের হাজারে হাজারে কৃষক এসে জড়ো হয়েছেন কৃষিবিল বিরোধী আন্দোলনে সংহতি বাড়াতে। দিন দিন সিঙ্ঘু সীমান্ত খবরের শিরোনামে পরিচিত পদ হয়ে উঠছে। আর তারিমধ্যে কৃষক আন্দোলন নিয়ে নানা বিতর্ক দানা বাঁধছে। সম্প্রতি কৃষকদের পিৎজা খাওয়া নিয়ে ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। স্বাভাবিক বিজেপি ও আরএসএস কর্মী বনাম আন্দোলন সমর্থকেরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে জোর আওয়াজ তুলেছে।
এই তীব্র শীতে যাতে আন্দোলনরত কৃষকদের কোনো অসুবিধে না হয় তার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি চোদ্দ পুরুষের পাঞ্জাবের কৃষক পরিবারগুলি তাদের বিশালাকার ট্রাক্টর নিয়ে যোগ দিয়েছে এই আন্দোলনে। সিঙ্ঘু সীমান্ত যেন এখন এক ‘অন্য দেশ’। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই ছবি অনবরত ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সেই ছবিতেই পিৎজা চক্ষুশূল হয়েছে কারো কারো কাছে। ‘পাঁচতারা আন্দোলন’ বলে অনেকেই আন্দোলন ভাবকে খর্ব করেছে। অপরদিকে নেটিজেনদের একাংশ পিৎজা খাওয়ার প্রসঙ্গে স্মরণে আনতে বলেছেন সেই ছবি যখন মরা ইঁদুর মুখে নিয়ে দক্ষিণের কৃষকেরা রাস্তায় নেমেছিল।


আরো পড়ুনঃ যারা প্রতিবাদকারী কৃষকদের দেশবিরোধী বলে তাদের পাকিস্তানে যাওয়া উচিত: রাঘব চাধা
টুইটার লিঙ্কঃ DILJIT DOSANJH on Twitter: “Shaa Baa Shey 👏🏼 Badaa Didh Dukheya Tuadha Hain ? https://t.co/u16Ti96AlN” / Twitter




টুইটারে বিভিন্ন ছবি দিয়ে কৃষক সংহতির পাশে দাঁড়িয়েছে নেটিজেনরা। কৃষক সমর্থনে আবারো মুখ খুলেছেন অভিনেতা-গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ। নেটিজেনদের একাংশের মতামত যে, যখন এই পিৎজার প্রতিটা কণা কৃষকের পরিশ্রমে তার চাষ করা জমিতেই ফলে তখন সেটা খেতে তার আপত্তি কোথায়। অনেকে এও বলেছে যে পিৎজা তৈরির যে প্রাথমিক উপাদান আটা সেটাই সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় পাঞ্জাব, হরিয়ানায় তবে সেটা খেতে আপত্তি কিসের। এই নিয়ে অবশয় আন্দোলনরতদের কোনো মন্তব্য উঠে আসেনি। কিন্তু ‘পিৎজা লঙ্গর’ এখন নেট দুনিয়ায় পয়লা ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে।