দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ বিধানসভায় উপস্থিত থেকেই মন্ত্রিত্ব ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নন্দীগ্রামের ঘরের ছেলে শুভেন্দু অধিকারী। বিগত কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুভেন্দুর পদত্যাগ পরিষ্কার করে দিল তার ভবিষ্যৎ দৃষ্টি। ইস্তফা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে লেখা চিঠিতে পদত্যাগী শূভেন্দু অনুরোধ করেছেন তিনি যেন একটি বিষয়ে নজর দেন। যেন কোনোভাবেই রাজ্য প্রশাসন ও তার পুলিশ তার অনুগামীদের উপর কোনো মিথ্যে ফৌজদারি মামলা না দায়ের করে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে যেন তিনি সেই দিকটি পর্যবেক্ষণ করেন তাই অনুরোধ করেছেন শুভেন্দু।
অজস্র মিথ্যে মামলায় বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের জেলে ভরেছে মমতা ব্যানার্জীর সরকার
শুভেন্দুর এই চিঠি প্রেরণের মর্মে সহমত পেশ করেছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। মান্নান সাহেব জানিয়েছেন যে শুভেন্দু অধিকারী এই চিঠি দিয়ে সঠিক কাজ করেছেন। কারণ বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে শয়ে শয়ে মিথ্যে ফৌজদারি মামলা খাড়া করেছে মমতা ব্যনার্জীর সরকার। এর আগে সুজন চক্রবর্তী, অধীর বিশ্বাস, দিলীপ ঘোষ ও সাম্প্রতিককালে দলবদলের পরে মুকুল রায় মমতা সরকারের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন। অজস্র মিথ্যে মামলায় বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের জেলে ভরেছে মমতা ব্যানার্জীর সরকার।
সহমত পেশ করেছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান


আরো পড়ুনঃ বিধানসভায় ইস্তফা দিলেন নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র, সচিবের ইস্তফা পত্র নিতে অস্বীকার !
রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দুবাবু জানিয়েছেন যে, তার এই সিদ্ধান্তের জন্য যেন তার অনুগামীরা কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক রোষানলের মধ্যে না পরে। তিনি আরো জানিয়েছেন যে শাসকদলের নেক্ নজরে থেকে মানবাধিকার বা স্বাধীনতা পাওয়া তো কারো শর্ত হতে পারে না। তিনি যখন মানুষের কল্যাণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন যেন সংবিধান ও আইন তাকে ও তার সঙ্গীসাথীদের পাশে থাকে।
বলা ভালো, এই চিঠি পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ-রাজ আর জঙ্গল-রাজের প্রসঙ্গকে আবারো উসকে দিল। প্রসঙ্গত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই হলেন পুলিশমন্ত্রী। কিছুদিন আগেই জেপি নাড্ডার কনভয় হামলায় মুখ পুড়েছে পুলিশ প্রশাসনের তারপরে আজ শুভেন্দুর চিঠি অস্বস্তি বাড়াবে শাসক শিবিরে।