দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: একদিকে উন্নত হচ্ছে সমাজ, অন্যদিকে প্রতিদিন বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা। জাতি-ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে শুধু নয়, চুরি থেকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বা জালিয়াতির রাশ টানতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এমন দিন হয়তো আজ আর আসে না, যেদিন খবরের পাতায় চোখ বোলালে একটিও অপরাধমূলক খবরের সন্ধান পাবেন না।
তবে একদিকে যেমন বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা, অন্যদিকে প্রায়শ’ই শোনা যাচ্ছে “বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ”। আদেও এই কতটা যুক্তিযুক্ত? এই নিয়েই রায় দিল আদালত। “অনির্দিষ্ট কাল ধরে যৌন মিলনের টোপ হিসেবে বিয়ের প্রতিশ্রুতিকে কখনও দায়ী করা যায় না।” বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মামলায় এক ব্যক্তি ছাড় পাওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এক মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে এই মন্তব্য করল দিল্লি হাইকোর্ট।
এই মামলায় ওই মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, “বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন ওই ব্যক্তি৷ এবং পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন৷”
আরো পড়ুন: দীর্ঘ ৫৫ বছরের প্রতীক্ষার অবসান! চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল পরিষেবার উদ্বোধন করলেন মোদি-হাসিনা
এই বিষয়েই বিচারপতি বিভূ ভাকরু বলেন, “ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, যাতে দীর্ঘ সময় যাবৎ যৌন সংসর্গ জড়িত, সেখানে বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত হিসেবে মেনে নেওয়া অসম্ভব। তাই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অর্থ সবসময় ধর্ষণ নয়৷ দীর্ঘদিন ধরে কোনও মহিলা নিজের ইচ্ছেতে কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুললে তা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে না।”
সূত্রে খবর, ২০১৩ সাল পর্যন্ত ফরিদাবাদে বাড়ি ভাড়া নিয়ে একত্রে ছয় মাস বসবাস করেন যুগল। তার পরে মহিলাকে ফেলে রেখে পঞ্জাবে নিজের গ্রামে ফিরে যান অভিযুক্ত ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে তিনি অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন। এরপরেই ‘ধর্ষণ’র অভিযোগ করেন ওই মহিলা।