দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত পশ্চিমবঙ্গে নতুন কিছু নয়, ক্রমশই শাসকদলের সাথে সংঘাত বাড়ছে। বারবারই ট্যুইটের মাধ্যমে রাজ্যের নিয়মকানুন, গাফিলতি কিংবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার সেই রাজ্যপালের সঙ্গেই দেখা করলেন শাসকদলের অন্যতম নেতা তথা বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। বর্তমানে কয়েকদিন যাবৎ নেতা মন্ত্রীদের দলবদল ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে, আর তার মধ্যেই রাজ্যপালের সাথে শাসকদলের বিধায়কের সাক্ষাৎ ফের নয়া মোড়ে ঘুরছে।
এদিন এই সাক্ষাতের ব্যাপারে জানিয়ে স্বয়ং রাজ্যপাল ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “আজ রাজভবনে এসে আমার সঙ্গে বালি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া দেখা করেছেন। তিনি প্রশাসনিক বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে এদিন আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।”
আরো পড়ুন:নাটকীয় ভাবে জিতেন্দ্র তিওয়ারি শনিবার বিজেপিতে যোগদান করছেন না! ফিরছেন আইনি পেশায়!
স্বাভাবিক ভাবেই এই ট্যুইটের পরেই রাজনৈতিক মহলে উঠেছে প্রশ্ন। কী কারনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ? প্রশাসনিক আলোচনা নিজের দলের সাথে না করে, আগে কেনই’বা রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ? অনেকেরই মনে প্রশ্ন, অন্য সকলের মতোন কী তাহলে এবার বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া’ও এবার অন্য দলে যোগ দেবেন নাকি রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ একটি সাধারণ ঘটনা?
সম্প্রতি বালির একাধিক জায়গায় সাংসদ বৈশালী ডালমিয়া’কে আক্রমণ করে একাধিক পোস্টার দেখা গিয়েছে। নামহীন ওই পোস্টারে লেখা ছিল, “মাননীয়া দিদির কাছে বালির সক্রিয় তৃণমূল কর্মীদের অনুরোধ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বালিতে কোনও বহিরাগত নয়, বালির মানুষকেই দলের প্রার্থী হিসেবে চাই।” যদিও থেমে থাকেননি সাংসদ, এই পোস্টারের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “আমি বহিরাগত নই। আমার নিজের নামে বালিতে বাড়ি রয়েছে। যাঁরা পোস্টার লাগিয়েছেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এ রাজ্যে এলে তাঁকেও বহিরাগত বলেন। এই সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত।”