দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ দেশের রাজধানীতে পারদ কমতে শুরু করলেও অন্যদিকে পারদ চড়ছে বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। এবার প্রতিবাদকারী কৃষকদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য সিঙ্ঘু সীমান্তের একটি পেট্রোল পাম্পের ভেতরে একটি ‘তাঁবু শহর’ গড়ে তোলা হল। এর আগে দেশের নানা জায়গা থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল অনেকেই, কিন্তু তাঁবু পেতে প্রতিবাদের জন্য ‘মিনি শহর’ তৈরি করে জোরালো বার্তা দিল পাঞ্জাব হরিয়ানার কৃষকেরা।
সারি সারি সবুজ এবং ধূসর তাঁবু, বর্তমানে প্রায় ৫০০ লোকের থাকার জন্য প্রায় ১৫০টি জলরোধী বায়ুরোধী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে এই পেট্রোল পাম্পে। গত শনিবার বৃষ্টিতে বেশ কয়েকজন কৃষক বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় তাঁবুগুলো আনা হয় বলে জানালেন এই আয়োজনের অন্যতম ব্যবস্থাপক যতীন সিং। তিনি জানান যে, এখানে কৃষকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য এই তাঁবুগুলো আনা হয়েছে। যদিও কিছু তাঁবুতে পাঁচ জন পর্যন্ত থাকতে পারে, কিন্তু করোনা বিধির কথা মাথায় রেখে তাতে ২-৩ জন করে থাকছে। তিনি আরো জানান যে, সন্ধ্যা ৬টায় চেক-ইন করার সময় নির্ধারণ করা হলেও নারী এবং শিশুরা যে কোন সময় তাঁবুতে এসে থাকতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট
এই সুবিধা প্রাথমিকভাবে তাদের জন্য যাদের নিজস্ব ট্রলি এবং ট্রাক্টর নেই যেখানে তারা বিশ্রাম নিতে পারে এবং রাত কাটাতে পারে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বেশ কিছু লোক আছে যারা সন্ধ্যায় বা রাতে সীমান্তে পৌঁছায়। মূলত তাঁবুর ব্যবস্থা তাদের জন্যই। মিঃ সিং আরও বলেন, হেমকুন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও এই তাঁবু সরবরাহ করছে।
পাতিয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রদীপ সিং জানিয়েছেন যে, “আমি পাঁচ দিন আগে আমার মা ও বোনের সাথে সীমান্তে পৌঁছেছি এবং তারপর থেকে আমরা এখানে শিবিরেই আছি। পেট্রোল পাম্পে জল এবং স্যানিটেশন সুবিধাসহ সব ধরনের সুবিধা এখানে সরবরাহ করা হচ্ছে। সিরসার দুটি গ্রামের বাসিন্দারা যারা কঠোর শীতে সাহস করে এবং আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য কম্বল এবং কুইল্ট পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। কেউ কেউ গম ও দুধ পাঠাচ্ছে, কেউ কেউ ওষুধ পাঠাচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রায় ১৫০টি কম্বল বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।