দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বছর শেষে উদ্ধার হল বিশাল সোনার ভান্ডার। পুরো উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও, প্রায় ৯৯ টন সোনা রয়েছে এই বিরাট গর্তটিতে। স্থানীয় সংবাদসংস্থা আনাডোলু এই খবরটি প্রথম নিশ্চিত করার পরেই সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করে পাওয়া এই বিশাল সোনার খনির খোঁজ মিলল। এমন গোপন সোনার খনির খোঁজ হয়ত অনেক সময় পাওয়া যায়, তবে এর বিষয়টি আলাদা৷ কারণ এই সোনার ভাণ্ডার এতটাই বিশাল যে এর মূল্য বহু দেশের জিডিপির থেকে বেশি হবে মনে করা হচ্ছে৷ অনুমান করা হচ্ছে যে, এই সোনার মূল্য ৬ বিলিয়ান ডলার বা ৪৪হাজার কোটি টাকা।
মধ্য পশ্চিম সোগুটে এই বিশাল সোনার ভাণ্ডারের খোঁজ মিলেছে৷ তুরস্ক গাবরেটাস ফার্টিলাইজার প্রোডাকশন অ্যাগ্রিকালচারল ক্রেডিট কোঅপারেটিভ প্রধান ফাহরেটিন পোরাজে এই খবরটি প্রথম সকলের সামনে আনেন।
আরো পড়ুন:করোনা আক্রান্ত হয়ে এবার আইসোলেশনে আবীর চট্টোপাধ্যায়ের গোটা পরিবার
সেপ্টেম্বর মাসে তুরস্কের মন্ত্রী ফাতেহ ডনমেজ জানান যে ইতিমধ্যেই দেশে ৩৮ টন সোনা উৎপাদন হয়েছে৷ পরবর্তী ৫ বছরে সোনার উৎপাদনের লক্ষ্য ১০০ টন স্থির করা হয়েছে বলে তিনি জানান৷ এর ফলে তুরস্কের অর্থনীতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, মলদ্বীপের জিডিপি ৪.৮৭ বিলিয়ান ডলার, লাইবেরিয়ার ৩.২৯ ডলার, ভূটানের ২.৫৩ বিলিয়ান ডলার, বুরুন্ডি ৩.১৭ বিলিয়ান ডলার, লেসোথোর ২.৫৮ বিলিয়ান ডলার। অর্থাৎ তুরস্কে উদ্ধার সোনার ভাণ্ডারের থেকে অনেকটাই কম এই সব দেশের জিডিপি। তবে কি এবার বিশ্বের ধনী দেশের তালিকায় নাম উঠবে তুরস্কের!