দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ একটি গবেষণা থেকে পাকাপোক্ত ভাবে জানা যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ মহামারী থেকে দুই দেশের বিপরীত পুনরুদ্ধারের পরবর্তীকালে চীন ২০২৮ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে। শনিবার প্রকাশিত এক বার্ষিক প্রতিবেদনে সেন্টার ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ-এ বলেছে যে, “কিছুসময়ের জন্য বিশ্ব অর্থনীতির একটি অতিরিক্ত থিম হতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষমতা লড়াইয়ের ঠান্ডা যুদ্ধ”।
বিশেষজ্ঞদের মতে, “কোভিড-১৯ মহামারী এবং সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক ফলাফল অবশ্যই চীনের পক্ষে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।” সিইবিআর আরো বলেছে যে চীনের মহামারী রোধের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও কঠোর লকডাউন নীতি এবং পশ্চিমে ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধির ফলে চীনের আপেক্ষিক অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা উন্নত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, “কোভিড-১৯ মহামারী এবং সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক ফলাফল অবশ্যই চীনের পক্ষে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।” সিইবিআর আরো বলেছে যে চীনের মহামারী রোধের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও কঠোর লকডাউন নীতি এবং পশ্চিমে ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধির ফলে চীনের আপেক্ষিক অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা উন্নত হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ইউরোপের ৮টি দেশে কোভিডের নতুন ধরণের উপস্থিতি! সতর্কতা জারি!
চীন ২০২১-২৫ থেকে এই বছরে ৫.৭% গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করেছে যা ২০২৬-৩০ থেকে বছরে ৪.৫% হারে এসে দাঁড়াবে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-এর ২০২১ সালে এই করোনা পরিস্থিতি থেকে প্রত্যাবর্তন-এর সম্ভাবনা আছে কিন্তু এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২২ থেকে ২০২৪ এই বছরের মধ্যে ১.৯% ধীর হবে, এবং তারপর তা মাত্র ১.৬%-তে এসে দাঁড়াবে। একইসঙ্গে জাপান যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে থাকবে এবং ডলারের দিক থেকে ২০৩০-এর দশকের শুরু পর্যন্ত যখন আরেকটি চূড়ান্ত স্থান যখন ভারত দখল করবে তখন তা জার্মানিকে চতুর্থ থেকে পঞ্চম স্থানে নামিয়ে আনবে।
ব্রিটেন এই মুহূর্তে সিইবিআর এর পরিমাপে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি, ২০২৪ থেকে যা ষষ্ঠ স্থানে চলে যাবে। ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজার থেকে প্রস্থান থেকে একটি আঘাত সত্ত্বেও, ডলারে ব্রিটিশ জিডিপি ২০৩৫ সালের মধ্যে ফ্রান্সের চেয়ে ২৩% বেশি হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল অর্থনীতিতে ব্রিটেনের নেতৃত্ব সাহায্য করেছে। সিইবিআর এও বলেছে যে, ২০২০ সালে শীর্ষ ১০টি বিশ্ব অর্থনীতিতে ইউরোপের উৎপাদনের ১৯ শতাংশ ২০৩৫ সালের মধ্যে ১২ শতাংশে নেমে আসবে।
বিশ্ব অর্থনীতির উপর মহামারীর প্রভাব উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের তা আমরা জানি, কিন্তু আমরা ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্রমবর্ধমান সুদের হারে একটি অর্থনৈতিক চক্র দেখতে পাচ্ছি। এটি সেই সব দেশের সরকারকেই একটি চ্যালেঞ্জ-এর মুখোমুখি দাঁড় করাবে যারা কোভিড-১৯ সংকটের জন্য ব্যাপকভাবে ঋণ নিয়েছে। কিন্তু রিপোর্টে এটাও জানানো হয়েছে যে এই দশকের শেষে এশিয়া থেকে রপ্তানি রেকর্ড সংখ্যায় পৌঁছবে।