দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ নতুন কৃষি আইন এবং চলতে থাকা কৃষক বিক্ষোভ – এই দুই পরিস্থিতি যে নরেন্দ্র মোদী সরকার সামলাতে পারেনি; এই কথা জানিয়ে বিজেপির সহযোগী রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি (আরএলপি) আজ ঘোষণা করেছে যে তারা নতুন কৃষি আইন-এর বিরোধিতা করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ত্যাগ করছে। এই পদক্ষেপ ঘোষণা করে আরএলপি প্রধান হনুমান বেনিওয়াল বলেন যে, “তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে আমি এনডিএ ত্যাগ করেছি। এই আইন কৃষকবিরোধী। আমি এনডিএ ছেড়ে যাচ্ছি কিন্তু কোনোভাবেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধব না। রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি অকালি দলের পর দ্বিতীয় বিজেপি সহযোগী যারা নতুন খামার আইন নিয়ে এনডিএ ত্যাগ করেছে।
এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলতে গিয়ে হনুমান বেনিওয়াল অভিযোগ করেন যে বর্ষাকালীন অধিবেশনে তাকে সংসদ থেকে দূরে রাখার জন্য তার কোভিড-১৯ পরীক্ষার প্রতিবেদন নকল করা হয়েছিল আর এই সময়েই নাকি পার্লামেন্টে নতুন কৃষি আইন প্রণয়ন করা হয়। তিনি বলেন যে, “আমার অনুপস্থিতিতে কৃষি আইন আনা হয়েছে। যদি আমি লোকসভায় উপস্থিত হতাম তবে এই আইনের দস্তাবেজ সব ছিঁড়ে ফেলে দিতাম,”।
আরো পড়ুনঃ দেশে মহিলাদের ইন্টারনেট ব্যবহারে এগিয়ে সিকিম! অনেক পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ!
রাজস্থানের নাগৌর লোকসভার সাংসদ বেনিওয়াল গত এক মাস ধরে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে দুই লক্ষ কৃষককে দিল্লির দিকে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দিনের শুরুতেই বেনিওয়াল জয়পুর, নাগৌর, বারমার, যোধপুর এবং রাজস্থানের অন্যান্য অংশ থেকে কোটপুটলি থেকে শাহজাহানপুর যাওয়ার পথে কৃষক আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেন।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে, “কৃষকদের বিক্ষোভ সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদী সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার করেনি এতদিন কারণ রাজস্থানে ১২০০ কিলোমিটার দূরের কৃষকরা এবার এই আন্দোলনের অংশ হতে দিল্লির দিকে এগোচ্ছে, তারাই প্রতিরোধ তৈরি করবে।”
গত এক মাস ধরে যথেষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল যে আরএলপি এনডিএ ত্যাগ করতে পারে, বিশেষ করে যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন তীব্র হচ্ছে। গত সপ্তাহেই হনুমান বেনিওয়াল কৃষকদের প্রতিবাদের সমর্থনে তিনটি সংসদীয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে হনুমান বেনিওয়াল বলেন, কমিটি চলাকালীন সময়ে তার তোলা বিভিন্ন বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যার ফলে তিনি হতাশ।
ডিসেম্বরের শুরুতে হনুমান বেনিওয়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখে বলেন যে যদি সরকার কৃষি আইন বাতিল করতে অস্বীকার করে তাহলে বিজেপির সাথে জোট অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তার দলকে পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। কিন্তু আজই তারা অব্যাহতি দিয়ে এনডিএ থেকে বেরিয়ে যায়।