দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ভারত-চীন অচলাবস্থা যখন লাইন অফ অ্যাক্টোরি কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর চলছে তখন ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনীর প্রধান আরকেএস ভাদুরিয়া আজ বলেছেন যে চীন সেনাবাহিনী পূর্ব লাদাখের সীমান্তবরাবর প্রচুর সৈন্য মোতায়েন করেছে। ভাদুরিয়া আরো বলেন যে, “চীন-এর রাডার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল এবং সারফেস-টু-সারফেস মিসাইলের বিশাল উপস্থিতি রয়েছে সেখানে। আমরাও প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”
১৫-১৬ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের সংঘর্ষের পর ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছিল সেই সংঘর্ষে, যদিও চীনা বাহিনীরও অনেক সৈন্য প্রাণ হারিয়েছিল, কিন্তু চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতাহতের তালিকা প্রকাশ করতে অস্বীকার করে যায়।
আরো পড়ুনঃ চরম বিপাকে জিও! এই রাজ্যে কাটা হলো ১৩০০ টাওয়ারের ফাইবার!
ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান আরও বলেন যে, “ভারত-চীন-এর যে কোন গুরুতর সংঘাত বিশ্বব্যাপীদৃষ্টিতে চীনের জন্য ভালো নয়। যদি চীনা বিশ্বে নিজেদের বাহুবল দেখানোর জন্য এটি করে থাকে তবে সেটি তাদের পরিকল্পনার সাথে মানানসই হবে না,”। “দেশের উত্তরসীমান্তে তাদের কাজের জন্য সম্ভাব্য উদ্দেশ্য কি হতে পারে?… এটা গুরুত্বপূর্ণ যে তারা আসলে কি অর্জন করতে চাইছে সেটা জানতে হবে”।
আইএএফ প্রধান ভাদুরিয়া বলেছেন যে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র এবং অ-রাষ্ট্রীয় অভিনেতাদের “ড্রোনের মত সহজ বিঘ্নিত প্রযুক্তির স্বল্প খরচ এবং সহজ প্রাপ্যতা” তাদের আরো “প্রাণঘাতী, চঞ্চল এবং অসমানুপাতিক প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম”।
ভারতীয় বিমান প্রধান বলেন, “বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা এবং অস্থিতিশীলতা চীনকে তার ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে। উত্তেজনা কমাতে ভারতীয় ও চীনা কমান্ডাররা বেশ কয়েক দফা আলোচনা পরিচালনা করেছে, তবে এর আগে গালওয়ানে সংঘটিত কোন চীনা দুঃসাহসিক অভিযান ঠেকাতে ভারতকে আরো সৈন্য মোতায়েন করতে সীমান্তে কয়েক হাজার চীনা সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
চলমান সীমান্ত সারির মধ্যে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ভারত যোধপুরে সদ্য কেনা রাফাল ফাইটার জেট এবং এসইউ-৩০ এমকেআই যোদ্ধাদের নিয়ে ফরাসি বিমান বাহিনীর সাথে একটি মহড়া পেশ করবে। আইএএফ সর্বশেষ গত বছরের জুলাই মাসে ফরাসি বিমান বাহিনীর সাথে একটি অনুশীলন করেছিল। ২০২২ সালের শেষনাগাদ ভারতে পৌঁছানোর জন্য নির্ধারিত ৩৬টি রাফাল জেট সরবরাহের ব্যাপারে ভারতীইয় সামরিক দপ্তর ফ্রান্সের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।