দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ইংলণ্ড জুড়ে কোভিড-১৯ ভাইরাস-এর যে স্ট্রেন মিউটেশন প্রসঙ্গে আইসিএমআর এর বিশেষজ্ঞ ডঃ ভরগাভা বলছেন যে, শ্বাসযন্ত্র-এর অন্দরেই এই ভাইরাসের জেনেটিক মিউটেশন ঘটে কিন্তু উচ্চতর ট্রান্সমিসিবিলিটি উদ্বেগের বিষয়। আইসিএমআর-এর চিফ ডঃ বলরাম ভরগাভা মঙ্গলবার বলেন যে, কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য যে থেরাপি গুলো প্রতিষ্ঠিত নয় অর্থাৎ এককথায় বেআইনি সেগুলোই এই ভাইরাসের ইমিউন প্রেশার কমিয়ে নতুন স্ট্রেন তৈরির পথ করে দিচ্ছে।
ডঃ ভারগাভা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন যে, “যে সব থেরাপিকে ‘এন্টি-ভাইরাল’ বা ‘এন্টি-সিওডিড থেরাপি’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে এবং তাদের কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে প্রতিষ্ঠিত কোন সুবিধা নেই, এই থেরাপিগুলো ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ তারা এই ভাইরাসের উপর প্রচণ্ড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার চাপ সৃষ্টি করবে এবং এটি আরো মিউটেশন করবে। ব্রিটেনে কোভিড-১৯ ভাইরাস স্ট্রেন মিউটেশন প্রসঙ্গে ডঃ ভরগাভা বলেন, শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসে জেনেটিক মিউটেশন ঘটে কিন্তু উচ্চতর ট্রান্সমিসিবিলিটি উদ্বেগের বিষয়।
আরো পড়ুনঃ প্রতিবাদী কৃষকদের সাথে ময়দানে আন্না হাজারে! জানুয়ারী থেকে দিল্লিতে অনশনের হুমকি!
শ্বাসযন্ত্রে এই ভাইরাসের জেনেটিক মিউটেশন ঘটে এবং এই অল্প প্রবাহসময়ে ঘটতে পারে, কিন্তু একবার বেশ কয়েকটি প্রবাহিত হলে যুক্তরাজ্যে এর ট্রান্সমিসিবিলিটির হার বেশি থাকে। তাই এটা একটা উদ্বেগের বিষয় যদিও আমরা ভারতে নিয়মিত ভাইরাস ভ্যারিয়েন্টের জন্য পরীক্ষা করছি। ডঃ ভারগভা বলেন যে ভাইরাসের উপর রোগ প্রতিরোধ স্ট্রেনটি পরিবেশের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে এবং চিকিত্সা বা অন্যান্য পদ্ধতির সাথে সম্পর্কিত যা এই ভাইরাসের উপর এই রোগ প্রতিরোধ চাপ সৃষ্টি করে।
তিনি আরো বলেন যে, এটা আমাদের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এই ভাইরাসের উপর অতিরিক্ত ইমিউন প্রেশার চাপিয়ে দিইনি এবং আমাদের থেরাপির বিচারবিভাগীয় ব্যবহার বজায় রাখতে হবে যার দ্বারা আক্রান্তরা উপকৃত হচ্ছে। যদি কোনোভাবে সেই সব পরিকল্পনা লাভজনক না হয় তবে আমাদের ঐ থেরাপিগুলি ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্যথায়, তারা এই ভাইরাসের উপর প্রচণ্ড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার চাপ সৃষ্টি করবে এবং এটি আরো মিউটেশন করবে তখন তা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
তিনি বলেন যে বিশেষজ্ঞরা তথ্য-এর দিকে তাকিয়ে থাকবেন সেটা যেমন ঠিক তেমনই যে সব প্রথম সারির টিকা গুলো এস- প্রোটিনকে টার্গেট করছে এবং এম-আরএনএকে’ই টার্গেট করছে, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সেগুলো কার্যকর থাকবে কিনা। একমাত্র টিকাকরণের মাধ্যমেই এই ভাইরাসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভাঙা যাবে।