দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ অনগ্রসর জাতি, দলিত এবং আদিবাসীরা ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৬২ শতাংশ জুড়ে আছে, কিন্তু দেশের পুলিশ বাহিনীতে তাদের প্রতিনিধিত্ব মাত্র ৫১ শতাংশ। ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিপিআর অ্যান্ড ডি) কর্তৃক প্রকাশিত পুলিশ সংস্থার সাম্প্রতিক তথ্য দেখাচ্ছে যে শুধুমাত্র তফসিলি উপজাতিদের উপস্থিতি যা পুলিশ বাহিনীতে একটু চোখে পরার মতো।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের শেষে সারা দেশে পুলিশ বাহিনীতে (কনস্টেবল থেকে ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট) ১৪ শতাংশ (কনস্টেবল থেকে ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট) দলিত সম্প্রদায় প্রতিনিধিত্ব করছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, দলিতরা ভারতের জনসংখ্যার ১৬.৬ শতাংশ ছিল। আদিবাসীরা যারা জনসংখ্যার ৮.৬ শতাংশ, পুলিশ বাহিনীতে তাদেরও উপস্থিতি ১২ শতাংশ এর আশেপাশে। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (ওবিসি) প্রতিনিধিত্বক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ। তথ্য অনুযায়ী জনসংখ্যার ৪১ শতাংশ-এর বিপরীতে ওবিসিরা পুলিশ বাহিনীর মাত্র ২৫ শতাংশ দখল করে আছে, যার ফলে প্রতিনিধিত্বে প্রায় ৪০ শতাংশ ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ এখনও বিশ বাঁও জলে রামমন্দির এর ভবিষ্যত্ ! নদীর তীব্র প্রবাহে ভিত্তি প্রস্তর নষ্ট হবার আশঙ্কা
লক্ষণীয়, সকল রাজ্য সরকার এই শ্রেণী সংরক্ষণ প্রদান করা সত্ত্বেও সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের টার্গেট অপূর্ণ রয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচ বছরে পুলিশবাহিনীতে নারীদের যোগদানের পরিস্থিতিরও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে যখন পুলিশ বাহিনীতে নারীদের উপস্থিতি ছিল প্রায় ১ লক্ষ ১১ হাজার, এখন তাদের প্রতিনিধিত্ব প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ২.১৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। বস্তুত, ২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনীতে নারীদের শক্তি ২০১৯ সালে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই তথ্য আরো দেখাচ্ছে যে নাগরিক প্রতি পুলিশ বাহিনীর অনুপাত (প্রতি এক লক্ষ-এর মধ্যে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা) ২০১৯ সালে কমে গেছে। ২০১৮ সালে যা ছিল ১৯৮ থেকে, সেটা ২০১৯ সালে ১৯৫ এ নেমে এসেছে। যেখানে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ৮১৬, সর্বোচ্চ। ঝাড়খণ্ড (৪৫) এবং বিহার (৫৫) সবচেয়ে খারাপ পুলিশ-জনসংখ্যা অনুপাত। ওড়িশা (৬৭), আসাম (৬৮), অন্ধ্রপ্রদেশ (৮৫), গুজরাট (৮৭), উত্তরাখণ্ড (৯৫) এবং পশ্চিমবঙ্গ (৯৭) এগুলি হল সর্বনিম্ন ১০টি রাজ্যের তালিকা।
সর্বোচ্চ তালিকার মধ্যে যে রাজ্যগুলি আছে সেগুলি হল জম্মু ও কাশ্মীর (৩৯৯) এবং পাঞ্জাব (২৩৬) । জাতিসংঘের বাধ্যতামূলক পুলিশ-জনসংখ্যা অনুপাত ধার্য করা হয়েছে ২২০ জন।