দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ঝং শানশান নামটি অপরিচিত কিন্তু সেও একজন ব্যবসায়িক টাইকুন। অবশ্য যার নাম সংবাদপত্রে খুব কমই উদ্ধৃত হয়। একসময় সাংবাদিকতা, মাশরুম চাষ এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা নানা ক্ষেত্রে থেকে একটি অসম্ভব কর্মজীবনের পর, তিনিই এখন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। ভারতের মুকেশ আম্বানি এবং তার নিজের দেশের জ্যাক মা সহ চীনা প্রযুক্তি টাইকুনদের পিছনে ফেলে এখন তিনি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশের সবথেকে ‘বড়লোক’।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস ইনডেক্স অনুসারে ঝং-এর নিট মূল্য এ বছর ৭০.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৭৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। এটা নাকি ইতিহাসের দ্রুততম সম্পদবৃদ্ধির দৃষ্টান্ত, এবং আরো লক্ষণীয় যে এই বছর পর্যন্ত তিনি চীনের বাইরে খুব কমই পরিচিত ছিলেন।
৬৬ বছর বয়স্ক ঝং রাজনীতির সাথে জড়িত নন এবং তার ব্যবসায়িক স্বার্থ অন্যান্য ধনী পরিবারের সাথেও জড়িত নয়, যেমন বাকি বিত্তশালীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তিনি এসবে ব্যতিক্রম। তাই তিনি পরিচিত বৃত্তে “লোন উলফ” নামে পরিচিত।
আরো পড়ুনঃ রাজভবনে সৌরভ গাঙ্গুলী! তাহলে কী নতুন ইনিংসের শুরু ! বাড়ছে জল্পনা
ঝং এপ্রিল মাসে টিকা নির্মাতা বেইজিং ওয়ান্টাই বায়োলজিক্যাল ফার্মেসি এন্টারপ্রাইজ কোং পাবলিক কে কিনে নেন, তারপর কয়েক মাস পরে বোতলজাত জল নির্মাতা ননগফু স্প্রিং কোং হংকং-কে অন্যতম সেরার তালিকাভুক্ত করেন। আত্মপ্রকাশের পর থেকে ননগফু-এর শেয়ার ১৫৫% বেড়েছে এবং ওয়ান্তই-এর শেয়ার ২০০০% এর বেশি বেড়েছে।
আম্বানি এক পর্যায়ে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হলেও তার রিলায়েন্সের শেয়ার থমকে গেছে কারণ তিনি তার প্রতিশ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য আপাতত একটি আর্থিক চাপের সম্মুখীন হয়েছেন।
এদিকে, সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের বিশ্লেষকরা বলেছেন যে কোম্পানিটি তার বাজার আধিপত্য মজবুত করেছে এবং পর্যাপ্ত নগদ কেও মজবুত করছে। যদিও অনেকে জানে না যে ঝং-এর অন্য একটি ফার্ম ওয়ান্ততাই, যারা চীনে কোভিড-১৯ টীকা তৈরির ট্রায়ালে এখন পয়লা নম্বর। চীনের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সরকারের ক্রমবর্ধমান তদন্তের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় ঝং-এর কাছেএই পদে আসীন হবার সুযোগ এসে যায়।