দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ বুধবার উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের এক শতাব্দী প্রাচীন একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয় একদল মানুষ। ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের রেকর্ড করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে একদল লোক পাথর এবং হাতুড়ি দিয়ে মন্দিরের কাঠামোর দেয়াল ভেঙ্গে ফেলছে, আর তারপর তারা আগুন লাগিয়ে দেয়।
স্থানীয় মুসলিম ধর্মীয় নেতারা এই সম্পর্কে পুলিশকে যা বলেছেন তা হল এই যে মন্দিরসম্প্রসারণের অভিযোগের বিরুদ্ধে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হচ্ছিল, যা উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলার একটি শহরে অবস্থিত। শহরের এক পুলিশকর্তা রহমতুল্লা বলেন যে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া ধর্মীয় নেতারা “উস্কানিমূলক বক্তৃতা” শুরু করেন, যার পর একদল লোক মন্দিরে হামলা চালায়।
আরো পড়ুনঃ কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভ থেকে জাতীয় উপভোক্তা দিবস, আজ কলকাতা সাক্ষী যে যে মিছিলের!
ওয়াজির রহমতুল্লা আরো বলেন যে, “সেখানে এত ভিড় ছিল যে তখন মন্দিরের ক্ষতি করা থেকে তাদের থামানোর জন্য কেউ সেখানে আসেনি,”। ওয়াজির আরও বলেন যে বেশিরভাগ কাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা পুলিশ প্রধান ইরফানুল্লাহ খান রয়টার্সকে বলেন যে, এই হামলায় জড়িত সন্দেহে নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৯০৯ সালে মন্দিরটি নির্মিত হয়, কিন্তু স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় দেশ স্বাধীন হবার পর সেখান থেকে চলে যায় এবং ১৯৯৭ সালে স্থানীয় মুসলমানদের দ্বারা জায়গাটি জবরদখল হয়ে যায়। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেয় এবং মন্দিরপুনর্নির্মিত হয়, এই শর্তে যে ভবিষ্যতে তা সম্প্রসারিত করা হবে না। তারপরেও এই হিংসার খবর প্রকাশে আসার পর পাকিস্তান প্রশাসন এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।