দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ উত্তরপ্রদেশের ইটাহ জেলা থেকে এক চাঞ্চল্যকর খবর জানা গেছে। সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী প্রধান অর্থাৎ যে পঞ্চায়েত প্রধান সে নাকি পাকিস্তানের নাগরিক। ৬৫ বছরের বানু বেগম যে বেশ কিছু সময় ধরে পঞ্চায়েত প্রধানের পদে অস্থায়ীভাবে কাজ করছিল সে নাকি আদতে করাচির বাসিন্দা। এই খবরের পরেই নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন এমনকি জেলা প্রশাসন থেকে খবর পৌঁছায় রাজ্যস্তরে।
আধার কার্ড, ভিসা এসব ছাড়া সে কি করে এতদিন দেশে রয়ে গেল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের সূত্রে আজ থেকে ৩৫ বছর আগে করাচি থেকে উত্তরপ্রদেশের এই গ্রামে আসেন সেই মহিলা তারপর আখতার আলি নামের একজনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তারপর নাকি তিনি দীর্ঘকালীন ভিসার জন্য অনুমতি নেন। তারপর থেকে বানু বেগম প্রতিনিয়ত ভারতীয় নাগরিকত্ব এর অনুমতি চাইলেও পাননি।
আরো পড়ুনঃ বছরের শেষেই কী বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নেবে অধিকারী পরিবারের বাকিরা! দিব্যেন্দু ও শিশিরের হাতে কী পদ্ম!
আরো বড় চমক হল কি এই বানু বেগম গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিয়ে জিতেও যান। ২০১৫ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ের পর তিনি কাজ শুরু করেন। এই বছরের গোড়ায় পঞ্চায়েত প্রধানের মৃত্যুর পর তিনি অস্থায়ী প্রধান হয়ে ওঠেন। প্রশ্ন যে যার নাগরিকত্ব নেই সে ভোটে দাঁড়ালোই বা কিভাবে। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথমেই বানু বেগমের নামে এফআইআর দাখিল করতে আর্জি করেছেন।
এই সূত্রে পঞ্চায়েত পরিচালন সমিতি ও গ্রাম পরিষদের সভাপতিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কারণ তার অনুমতিতেই এই মহিলা অস্থায়ী পঞ্চায়েত প্রধানের কাজ করছিলেন। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে জানানো হয়েছে।