এভারেস্টের দেশের ভার সুশীলার হাতে !

0
14

The Calcutta Mirror Desk :

যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নেপাল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিই (Sushila Karki) নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন। কিছুক্ষণ আগেই নেপালের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সুশীলা কার্কির নাম ঘোষণা করে। জেন-জেড বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌড়েল এবং সেনাপ্রধান অশোকরাজ সিগডেলের মধ্যে আলোচনায় ঐকমত্যের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপ-রাষ্ট্রপতি রাম সহায় যাদব ,প্রধান বিচারপতি প্রকাশ সিং রাওয়াত উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ বাবুরাম ভট্টরাই, সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল, মুখ্য সচিব একনারায়ণ আরিয়াল এবং কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন শাহও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সুশীলা কার্কির স্বামী দুর্গা সুবেদীও উপস্থিত ছিলেন।

১৯৫২ সালের ৭ জুন সুশীলা কার্কি জন্মগ্রহণ করেন নেপালের বিরাটনগরে ৷ এই জায়গাটি ভারত সীমান্তের কাছেই অবস্থিত৷ পরিবারের সপ্তম সন্তান সুশীলা ১৯৭৯ সালে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন৷ ২০০৯ সালে অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেন৷ পরের বছর মানে ২০১০ সাল থেকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ আরও পরে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে তিনি দেশের ২৪ তম প্রধান বিচারপতির পদে নিযুক্ত হন৷ তিনিই ছিলেন নেপালের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি ৷

এই প্রথম কোনো মহিলা নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন। সুশীলার অধীনে তাঁর সরকারে একটি ছোট তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রীসভা থাকবে। আজ রাতেই মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিসভা ফেডারেল পার্লামেন্টের পাশাপাশি সাতটি প্রাদেশিক পার্লামেন্টও ভেঙে দিয়ে জরুরি অবস্থা জারির সুপারিশ করতে পারেন বলে জানা গেছে। মন্ত্রীসভার বৈঠকের পরই রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে আজ রাত থেকেই নেপালে জরুরি অবস্থা জারি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নেপালের সংবিধানের ২৭৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে, জাতীয় সংকটের পরিস্থিতিতে – যেমন যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সশস্ত্র বিদ্রোহ, বা অন্যান্য গুরুতর কারণে দেশে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা যেতে পারে।

কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং দেশে চলতে থাকা বেলাগাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণে গত ৪ দিন ধরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে নেপাল। বিক্ষোভের জেরে প্রায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ৩ হাজার। গণবিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। অধিকাংশ মন্ত্রীরা হয় দেশ ছেড়েছেন নয়তো আত্মগোপন করে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠিত সব রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আগুনে পুড়েছে বহু সরকারি ভবন। ৩ দিন ধরে তাণ্ডবের পর আজ নেপালের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here